আব্দুল মতিন। বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলীর শিমুলীয়া গ্রামে যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ১৯৮৯ সালে ফ্যামিলি ভিসায় আমেরিকায় এসে আকাশ চুম্বি সফলতা লাভ করেছেন। সাউথ ইস্ট ডেট্রোয়েটের সবুজ বিপ্লবে যিনি কাজ করেছেন নেপথ্যের অন্যতম নায়ক হিসেবে। তার জীবন ও কর্ম নিয়ে কথা বলেছন বাংলা সংবাদ-এর সাথে।
আপনার আমেরিকার প্রথম জীবনের গল্প শুনতে চাই
প্রথমে আমি নিউইয়র্কে আসি। কিছুদিন চাকরি করি, তারপর ফ্লোরিডাতে চলে যাই এবং সেখানে থাকি সাড়ে ৬ বছর।
কেন গিয়েছিলেন ফ্লোরিডায়?
সেখানকার আবহাওয়াটা একটু ভাল, ঠান্ডা কম, তাই চলে গিয়েছিলাম।
ফ্লোরিডার জীবন সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
ফ্লোরিডাতে প্রথম দিকে একটা গ্যাস স্টেশনে চাকরি করতাম। পরে হোমস্টেইটে চলে যাই। সেখানে একটা হোটেলের ম্যানেজার ছিলাম অনেক বছর। একসময় এলার্জি জনিত কারনে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলো। ফিরে আসি আবারও নিউইয়র্কে। ১৯৯৪-৯৭ সাল পর্যন্ত সেখানে ছিলাম। তারপর ৯৮তে মিশিগানে চলে আসি। আছি এখন পর্যন্ত।
মিশিগানে প্রথম এসে কি কাজ করলেন?
প্রথমে এসে আমি ডেট্রয়েট ডাউনটাউনে চাকরি করি কুরটিয়ারডভেরিওডেতে একজন ওয়াটার হিসেবে।
ওয়েটার থেকে ফার্মিং-এ আসার জার্নিটা শুনতে চাই
আমার ইচ্ছে ছিলো ফার্ম করার। ২০০৮ সালে বেটলিক্রকসে একটা ফার্ম ক্রয় করি। সেখান থেকে আমার ফার্মিং শুরু। বিশাল ফার্মটা ২০১২ সাল পর্যন্ত চালিয়েছি। এইদেশে ৪ বছর ফার্মিং চালিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন। ফার্মিংটা অনেক ইমপর্টেন্ট যা বলে বুঝানো যাবে না। আমাদের একমাত্র খাবারের উৎস হলো ফার্মিং। ন্যাচারালি আমরা সবাই ফার্মার। মানে কৃষির সাথে জড়িত। অনেকেই এদেশে এসে সেটা ভুলে যাই। আমেরিকান ফার্মাররা পুরো পৃথিবীতে খাবার সাপ্লাই করে এই জন্য আমি ফার্মিং-এ জড়িয়ে পড়ি। আমার ফার্মে গরু ছিলো। ছাগল পালন মুসলমানদের জন্য সুন্নত। তাই এই বিষয়ে আমার আগ্রহ ছিলো বেশি। তাছাড়া আমার ফার্মে অন্যান্য পশু-পাখিও ছিলো। তবে আমার ফার্মে শাকসব্জি না থাকলেও কর্ণ ছিলো উল্লেখযোগ্য হারে।
ইয়াংদের জন্য ফার্মিংটা কি ভালো? সরকারি সুযোগ- সুবিধা সম্পর্কে বলুন।
ফার্মিং টা যদি বাঙালিরা করতে পারে তাহলে লস কম, লাভ বেশি। শুধু তাই নয় এই খাতে এদেশের সরকার অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন খুব সহজে লোন পাওয়া যায়।
তাছাড়া পশু-পাখি লালন পালনে কোন ট্যাক্স দিতে হয় না। এদের খাবার-দাবার ক্রয়ে ট্যাক্স ফ্রি। অর্থাৎ ট্যাক্সের দিক দিয়েও অনেক ছাড় মিলে। সর্বপরি ফার্মিং করতে গিয়ে যদি কেউ ক্ষতগ্রস্ত হয় সেই ক্ষেত্রে সংরক্ষিত ফান্ড থেকে ভর্তুকি দেয়া হয়। ফলে ফার্মার বেনিফিটেড হবেই।
কত ধরণের ফার্মিং আছে? যদি কেউ ফার্মিং করতে চায় সেই ক্ষেত্রে কোন ধরণের ফার্মিং বেছে নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
অনেক ধরণের ফার্মিং আছে। তবে বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক হলো গরু এবং ছাগল পালন। যদি কেউ ৫০টি গরু পালনের উদ্যোগ নেন তাহলে তার খরচ হবে ২৫শ ডলার যার বাজার মূল্য ১ লাখ ডলারের বেশি। এতে ঐ অর্থে পরিশ্রম নেই বললেই চলে। তাছাড়া চিকিৎসার বিষয়েও তেমন চিন্তা করতে হয় না। পশু ডাক্তারা এসে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যান। অনেকে ছাগলকে goat না বলে gold বলছেন। এখানে ছাগলকে স্বর্ণের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। ছাগল পালন অত্যান্ত লাভজনক। যদি কেউ ৫০টি ছাগল পালনের উদ্যোগ নেন তাহলে সেখান থেকে বছরে অন্তত ১০০টি বাচ্ছা পাওয়া
যাবে। প্রতিটি বাচ্চা ৫০ থেকে ২০০ ডলারে বিক্রি হয়। তাছাড়া যদি ১টি ছাগলের ওজন ১০০ পাউন্ড হয় তাহলে সেটা ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে বিক্রি করা যায়। তাহলে বেনিফিট কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে বুঝতে পারছেন।
কেউ যদি ১০০টি ছাগল নিয়ে ফার্ম শুরু করতে চায় সেই ক্ষেত্রে কি পরিমান ইনভেস্ট করতে হবে?
ছাগলের মধ্যে অনেক কোয়ালিটি আছে যেমন পিগমি, বোর, আলপাইন, সনাক, ফেন্টাম ও নোবিয়ান। বোরকে সাধারণত মিট গট বলে। আলপাইন ও সনাককে বলে মিল্ক গট। নোবিয়ানাও মিল্কি গট এটি আকারে অনেক বড় হয়। অর্থাৎ বোর, নোবিয়ানা, সনাক এবং আলপাইন এই ৪ প্রজাতির ছাগল অনেক লাভজনক। পিগমি এবং ফেন্টাম প্রজাতির ছাগল আকারে তুলনামূলক ছোট হয় তাই ছাগল পালনে মানুষ খুব একটা আগ্রহী হয়না। কেউ যদি মাংশের জন্য বোর ৫০টি পালন করেন তাহলে তাকে ৫ হাজার ডলার ইনভেস্ট করতে হবে। খাওয়া খরচ আসবে আরো ৫ হাজার ডলার। মোট ১০ হাজার ডলার। বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতিটি ছাগল ৩শ ডলার করে বিক্রি করা যাবে।
এখন যারা ফার্মিং করতে চায়, তারা কিভাবে শুরু করবে?
প্রথমত একটি জমি লাগবে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন একরের, সেই জমিতে একটা ঘর বানাতে হবে গুদাম ঘরের মত। খুব বেশি একটা খরচ করতে হবেনা ২৫ হাজার ডলারের মধ্যে হয়ে যাবে। আবার যদি কেউ ফার্ম কিনে ফেলে তাইলে ফার্মের সাথেই পাওয়া যায় এইধরণের ঘর। মিশিগানে অনেক ফার্ম কেনা-বেচা হয়। যদি কেউ উত্তরের দিকে যান তাইলে অনেক কম দামে ফার্ম কিনতে পারবেন সেখানে। সব সময় ঘর রেডি থাকে সেই সব ফার্মে।
কি কি সরকারি কাগজ-পত্রের প্রয়োজন হয়?
আসলে ঐসবে কোন চ্যালেঞ্জ নাই। অফিসিয়ালি সরকার অনেক সহযোগিতা করে থাকে।
মূল প্রসঙ্গে আসি। আপনি এই এরিয়াতে আসার পরে আরবান ফার্মিং শুরু করেছিলেন, আরবান ফার্মিং সম্পর্কে আমাদের পাঠকদের একটু বলুন।
২০১২-এর ফেব্রুয়ারিতে আমি ডেট্রয়েটে আসি তখন এখানকার আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। কিন্তু বাড়ি- ঘরগুলা অনেক সস্তা ছিল। মাত্র ৫শ ডলার দিয়ে বাড়ি কেনা যেত। আমি ল্যান্ড ব্যাংকের সহযোগিতায় জমি ও কয়েকটি বাড়ি ক্রয় করি। শুরু করি আরবান ফার্মিং। যারা নতুন করে আরবান গার্ডেনিং শুরু করবেন তাদের জন্য ডেট্রয়েট সিটি নানা রকম সুবিধা দিয়ে থাকে। এখানে মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, লাউ বা কদু চাষ করতে পারলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে। কেননা এইগুলার অনেক চাহিদা সম্পন্ন ফসল। যে কেউ ঘর থেকে প্রসেসটা শুরু করতে পারবে। ঘরের পাশে যদি একটু খালি জমি থাকে সেখানে ছোট করে ইনভেস্ট করা যায়। প্রফিট আসবে। বাংলাদেশি সিম ফসলটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৫ ডলার করে, সেটি আপনি ৩ ডলারে বিক্রি করুন। দৈনিক ১শ ডলার বিক্রি মাস শেষে ৩ হাজার ডলারে দাড়াবে। যা করা অনেকটাই সহজ। তাছাড়া আমার কাছে নানা জাতের ফসলের বীজ আছে। যে কেউ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ থেকেও সিমসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির বীজ আসে সেগুলো দিয়েও ফার্মিং শুরু করা যাবে। কেউ যদি সিম চাষে ১ হাজার ডলার ইনভেস্ট করে তবে সে ৩ হাজার ডলার আয় করতে পারবে।
loss composite-এর বিষয়ে আপনি বলছিলেন যে ওই এলাকাটা পরিত্যক্ত ছিল, ওইটা আগে কেমন ছিল এবং উন্নয়ন কাজ কবে থেকে শুরু হলো?
যখন আমি এই অঞ্চলে আসি, ঘর কিনি, তখন 13188 mcdougall এরিয়াটা অনেক ভয়ঙ্কর ছিল। আমার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দিনের বেলাও যাওয়া-আসায় বাধা প্রদান করতেন অনেকে। আমি অনেক কষ্ট করেছি। চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। একসময় ৫ জন সহযোগি (স্মীথ, এলাইজা, রিচার্ড এবং জন) মিলে টহল দেয়া শুরু করলাম। যার ফলে তারা সরে যেতে বাধ্য হলো। কাউকে ব্লেইম করছি না তবে আমাদের অনেক ইমিগ্রেন্টদের ছেলে-মেয়েরা নানা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। বিষয়গুলো আমাদের সকলের জানা দরকার। সতর্ক থাকা দরকার।
চ্যালেঞ্জের সুখীন বলতে আসলে কি বুঝাতে চেয়েছেন?
খারাপ ছেলে মেয়েদের কথা বলছিলাম। তারা অনেক খারাপ ব্যবহার করতো, বেয়াদবি করতো যা বলার মতো নয়। এইসব বিষয়ে আমরা সাধারণত কালো মানুষদের দোষ দিয়ে থাকি আসলে এটা সত্য নয়। এখানে ইয়েমেনি এবং অনেক বাঙালি ছেলে-মেয়েরা জড়িত। আমি ২/৩বার ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছি। মোকাবেলা করেছি। একসময় তারা পালিয়ে গেছে। আমি কোনো বাঙালির সহযোগিতা পাইনি উল্টো তাদের সাথে আমার চ্যালেঞ্জ করতে হতো। যেমন অনেক সময় আমি পুলিশের সাহায্য চেয়েছি কিন্তু বাঙালিরা উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট করতো। যাদের ছেলে-মেয়েরা গাজাসেবনসহ নানা অশ্লিল কাজে লিপ্ত থাকতো তারাই সন্তানদের পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিত। আমাকে অনেক হ্যারেজ করেছে, আমার ৪টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। স্পেশালি পুলিশ আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছিলো ফলে তারা চলে যেতে বাধ্য হয়। এখন যে কেউ ফ্রি চলাফেরা করতে পারবে যা আগে কল্পনা করা যেতনা। একটা ঘটনা বলি, ২০১৩ সালে জুলেই বা আগস্টের দিকে দিনের বেলা একজন মহিলার চেইন নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিল এক চোর। আমি পিছু নিয়ে চেইনসহ তাকে একাই ধরে ফেললাম।
আপনি বলেছেন আপনি একাই এখানে আরবান ফার্মিং করেছেন কিন্তু আমরা যতটুকু জানি আরো অনেকেই বিষয়টির সাথে জড়িত হয়েছেন।
নতুন করে অনেকেই বাড়ির পেছনের অংশে ফার্মিং শুরু করছেন এবং তারা বেশ ভালো রেজাল্ট পাচ্ছেন। তবে কমিউনিটি তাদের কাছ থেকে কিছু পাচেছ কিনা আমি জানিনা।
আপনার ফার্মে কি কি ফসল চাষ করেছেন?
আমি সাধারণত প্রতি বছর অনেক লাউ চাষ করি এইবারও করেছি। পাশাপাশি লাল শাক, সিম চাষ করি। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক লাভবান হয়েছি।
কিছু যদি মনে না করেন শুধু একটা আইডিয়া পাওয়ার জন্য বা ইন্সপায়ার্ড হওয়ার জন্য জানতে চাচ্ছি আপনি বছরে কত ডলার ইনকাম করেন?
আমার মনে আছে ২০১২ সালে শুধু সবজি বিক্রি করে প্রায় ৩০ হাজার ডলার ইনকাম করেছিলাম। খুবই সহজ একটা ইনকাম। গত দুই বছর ভাল ছিল এই বছর আবহাওয়ার কারণে ভালো হয়নি তারপরও প্রায় ২০ হাজার ডলার ইনকাম করেছি। এখন আমি অনেক কম চাষ করি কেননা অন্য একটা ফার্মের সাথে জড়িয়ে গেছি।
শাক সবজির বাহিরে আপনি বলছিলেন যে হাঁস বা মুরগি
আমার জানা মতে ডেট্রয়েট সিটির একটা আদেশ আছে যে আপনি প্রতিটা আরবান গার্ডেনের আন্ডারে একটি লাটে ৮টি মুরগি রাখতে পারবেন। হ্যামট্রামিকে ৩ বা ৪টা রাখতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে ৪টা মুরগি রাখলেও খাওয়াদাওয়ার জন্যে আলাদা কোনো ব্যবস্থা করতে হয় না, অথছ এখান থেকে পুরো সামারে ডিম পাওয়া যায় যা আপনার জন্য খুবই উপকারী এবং শুধু তাই নয় বাজারের ডিমগুলোতে ক্যামিক্যাল থাকে আপনি পাচ্ছেন ফ্রেস ডিম। বাংলাদেশি প্রত্যেকেই ঘরের মধ্যে মুরগি রাখে। সিটি থেকে কোনো বাধা আসবেনা কারণ সিটি আমাদের খুব পছন্দ করে এবং সবকিছুতেই সাহায্য করে।
যারা ফার্মিং করতে চায় তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
আমি বলবো সবাই বেশি বেশি করে ফার্মিংয়ে জড়িত হোক। মিশিগানে ফার্মিং অনেক লাভজক। আমার পরামর্শ থাকবে উত্তরদিকে এখনো জমি অনেক সম্ভা, নতুনরা সেই সব এলাকায় জমি কিনে ফার্মিং শুরু করলে সফল হবেই। তাছাড়া জমিতে কোনো লস নাই, সময় সময় জমির দাম বাড়তেই আছে। আমি ২০০৮ সালে যে জমি কিনেছিলাম ২৫শ ডলার দিয়ে সময়ের ব্যবধানে আজ তার প্রতি একর ২০ হাজার ডলারে দাড়িয়েছে। উত্তরে এখনো ৩/৪ হাজার করে প্রতি একর জমি কিনতে পারবেন। আমি বলবো ঘরের মধ্যে ইনভেস্ট না করে জায়গা কিনেন, ফার্মিং করেন তাইলে অনেক লাভবান হতে পারবেন। অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় ফার্মিং একটা ঝামেলামুক্ত ব্যবসা।
হালাল বার’ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি?
উত্তরঃ আমাদের কমিউনিটিতে এক জায়গাতে (নাম বলবোনা) ‘হালাল বার’ আছে। যেখানে মানুষ যায় ড্রিংক করার জন্য। মুসলমানদের যা সম্পূর্ণ হারাম। এটি মানুষের ক্ষতি ছাড়া উপকার করে না।
জিরো এলকোহল কি হালাল নয়? এটা কিভাবে আপনি ব্যাখ্যা করবেন?
আমি ফার্মিংয়ের সাথে জড়িত এবং ফুডের সাথে জড়িত তাছাড়া অনেক দিন রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ছিলাম একসময় ফ্লোরিডার একটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করি। আমি জানি জিরো এলকোহল বলতে কিছু নেই। যেমন, রেডব্লু , হানিক্যান, স্প্রাইট জিরো এলকোহল লিখা এগুলোতেও পয়েন্ট জিরো ৮ পার্সেন্ট এলকোহোল থাকে। যা মুসলমানদের জন্য নিরাপদ না। তারপরও এর সাথে জড়িয়ে আছে ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম প্রাণি শুকরের ইনগ্রিডিয়েন্ট। ধন্যবাদ আপনাকে বাংলা সংবাদকে সময় দেওয়ার জন্য।
আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন