সমাজের কল্যাণে সদা ঝলমল রাজনীতিবিদ শাহিন আজমল

শাহিন আজমল জন্মগ্রহণ করেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগর গ্রামে। পাথারিয়া পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, সুবিশাল পাহাড়ের পাদদেশ ঘেসে রয়েছে সবুজ মাঠ ও নদী। আবার পাশেই রয়েছে হাকালুকি হাওর, যেখানে পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে।

১৯৭৮ সালে শাহিন আজমল সিলেট দক্ষিণভাগ এন.সি.এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে তিনি এমসি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন।

রাজনীতি নিয়ে তিনি জীবনের শুরু থেকেই ভেবেছিলেন। সেজন্য শিক্ষা জীবন থেকেই তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়। এক সময়ের সিলেট জেলার ছাত্র অধিকার নির্বাচনে কাদের চুন্নু পরিষদ থেকে ছাত্রলীগের হয়ে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ১৯৮০-৮১ শিক্ষা বর্ষে সিলেট এমসি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেন। পরে চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেন।

এমসি কলেজে থাকাকালীন সময়ে তিনি ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের পতনের কিছু আগের দিকে তৎকালীন সময়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক সিলেট এমসি কলেজে আসেন। পরে সিলেট এমসি কলেজের কমিটি গঠন করেন আজমলকে সাধারণ সম্পাদক এবং গোলাম রব্বানিকে সভাপতি করেন।

পরবর্তী সময়েও আজমল এমসি কলেজে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে সময়ে শাহিন আজমলকে সিলেট জেলা থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে তিনি সক্রিয়ভাবে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন।

১৯৯১ সালে আজমল যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এরপরে আবারও তিনি আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের যে কমিটিতে খালেদ হাসান সভাপতি এবং এম এ সালাম শামিম সাধারণ সম্পাদক সেই কমিটিতে আজমল দীর্ঘ ৯ বছর কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

২০১১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামীলীগের ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।

সেই কমিটিতে নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আজমল। বর্তমানেও তিনি নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সব সময় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য বুক ভরা আশা আর চোখে স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন আজমল। নিজের এলাকাকে স্বপ্নের মতো গড়বেন এটাই তার ইচ্ছা। মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাগব করে একটি সুন্দর এলাকা উপহার দিতে চান আজমল। আর সেই স্বপ্নকে লালন করছিলেন শৈশব থেকেই।

মানুষের জন্য নিজের সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে চান নির্বাচনের মাধ্যমে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

আজমল বলেন মানুষের জন্য কাজ করার প্রয়াস তার অনেক আগে থেকেই। তিনি মানুষের জন্য শৈশব থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হলে তার এলাকার জন্য কাজ করার অনেক সুযোগ থাকে। আর তিনি মনে করেন কেউ যদি মন থেকে এলাকার উন্নয়ন চান, তাহলে তিনি এলাকার অনেক উন্নয়ন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজার-১, বড়লেখা-জুড়ী। এ অঞ্চলটি আসলে প্রবাসী এলাকা। এই এলাকার অনেক মানুষ প্রবাসে থাকে। আর সেই প্রবাসীদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে একটি দক্ষ মানব সম্পদে তৈরি করতে কাজ করবেন তিনি। কেননা এ খাত থেকে বাংলাদেশে প্রচুর অর্থ আসে। এতে করে দেশ এবং এলাকার অর্থনীতির উন্নতি হবে।

তিনি আরও বলেন একটি দেশ তথা এলাকা উন্নত করতে হলে প্রথমে নজর দিতে হবে তৃণমূলে। আসলে তৃণমূল থেকেই কাজ করতে হবে আমাদের, তাহলেই দেশ তথা এলাকা উন্নত হবে। এই এলাকায় কারিগরি কলেজ থাকলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক দক্ষ হয়ে উঠবে। কেননা এই এলাকা প্রবাসী এলাকা । প্রবাসীরা দক্ষ হলে প্রবাসে অর্থ উপার্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

আর তিনি নির্বাচিত হলে তার এলাকায় কারিগরিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। বিশেষ করে তিনি কারিগরি শিক্ষার প্রতি বেশি জোর দিবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকার মানুষ খেলাধুলা প্রিয় মানুষ। আমাদের এলাকার মানুষ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছেন। এই খেলা প্রিয় মানুষের খেলাধুলাতে আমাদের একটা ঐহিত্য রয়েছে। খেলাধুলাতে আমাদের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। আর আজমল নির্বাচিত হলে আগের সেই খেলার ঐতিহ্য ফিরে আনতে চেষ্টা করবেন।

তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসা আজমল মনে করেন, ৪৩ বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সংঙ্গে নিজের সর্বস্ব দিয়ে আছেন। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অসময়ে তিনি দলের পাশেই ছিলেন। এমনকি বর্তমানেও তিনি দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপশক্তিকে রুখতে দেশে বিদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও আজমলকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছেন। এমনকি দলের প্রতি আজমলের যে একনিষ্ঠতা এ থেকে আজমল শতভাগ আশাবাদি জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকেই মনোনীত করবেন। এর সঠিক মূল্যায়ন তিনিই পাবেন বলে মনে করেন আজমল।

৪৩ বছর ধরে রাজনীতিতে যুক্ত থাকা এই প্রবীন রাজনীতিবীদ অনেক দিন ধরে রাজনীতির বিভিন্ন ঘাত- প্রতিঘাত পেরিয়ে এসেছেন। তাই অভিজ্ঞতারও কমতি নেই। তিনি তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারবেন। আর তিনি নির্বাচিত হলে তার এলাকার প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করবেন। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চান।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিশিগানে ৫.৫ মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির অভিযোগে দম্পতির ১০ বছরের সাজা

ডেট্রয়েটের ডাউনটাউনে ম্যানহোল কভার বিস্ফোরিত, একজন আহত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম

১০ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার বিশ্বরেকর্ড

পশ্চিম মিশিগান পার্কে মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত শিশুসহ ৭জন

মিশিগানের প্রেসিডেন্টশিয়াল ব্যালট চূড়ান্ত হয়নি, পেরিয়ে গেলো সময়সীমা

নভোচারী সুনিতা-ব্যারিকে ছাড়াই পৃথিবীতে ফিরল বোয়িংয়ের মহাকাশযান

আল মিসবাহ ইনস্টিটিউটে ইসলামিক অ্যান্ড একাডেমিক কার্যক্রম শুরু

মিশিগানে দুর্ঘটনায় আহত আনছার মিয়া আইসিইউতে চিকিৎসাধীন

বাইডেনপুত্র হান্টার কর ফাঁকির মামলায় দোষ স্বীকার করবেন

১০

ডেট্রয়েটের ব্যক্তি মালিকানাধীন পার্কগুলো বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে

১১

আমেরিকায় শীর্ষ ৫০-এ স্থান করে নিলো ইউনিভার্সিটি অব ডেট্রয়েট মার্সি

১২

আড়াই কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করবেন কমলা

১৩

ডেট্রয়েটে ছেলের ঝগড়া থামাতে গিয়ে মা নিহত

১৪

কালপুরুষ

১৫

হট ডগ (!)

১৬

যে সকল অভ্যাসে নষ্ট হচ্ছে হরমোনের ভারসাম্য

১৭

কোমর ব্যথার লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার

১৮

চূড়ান্ত লড়াইয়ে কমলা–ট্রাম্প

১৯

৯ বছর পর মালিককে খোঁজে পেলো কুকুর

২০