ডেট্রয়েট এলাকার বাসযোগ্য বাড়িগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়। কারণ, এলাকার মোট বসতবাড়ির ৯৫% প্রায় ৭০ বছর পূর্বে নির্মিত। ২০২১ সালের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ডেট্রয়েট এলাকায় আনুমানিক ৩৭,৩৬০টি বসতবাড়ি বাসযোগ্য নয়।
বাড়িগুলোর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বেহাল। এছাড়া শৌচাগার ও রান্নাঘরে জল সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে, এবং হিটিং সিস্টেম নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের বাড়ির মালিকদের নিজ বসতবাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে গিলবার্ট ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন। তাদের আর্থিক সহায়তায় ২০২২ সাল থেকে কাজ করছে “ডেট্রয়েট হোম রিপেয়ার ফান্ড” (সংক্ষেপে DHRF)। এখন পর্যন্ত ডেট্রয়েট এলাকায় স্বল্প আয়ের ১,০০০ ঘরের মালিকদের বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে ব্যয় করা হয়েছে ২০ মিলিয়ন ডলার। পুরো বসতবাড়ির পুনঃমেরামতের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রোগ্রামও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ডারনেল অ্যাডামস, যিনি মিশিগান কমিউনিটি ইনিশিয়েটিভ কাউন্সিল ও গিলবার্ট ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বহুদিন ধরে জড়িত, তিনি জানান—ডেট্রয়েট নগরীর অনুপযুক্ত বসতবাড়িগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। ফাউন্ডেশনের সহায়তা কার্যক্রম চালু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ১,২৫,০০০ (সোয়া লক্ষ) ফোন কলের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার অনুরোধ আসে। সামগ্রিক তথ্য বিবেচনা করে এখন পর্যন্ত ৪০০ ঘরের মালিককে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যাতে তাদের বসতবাড়ি বাসযোগ্য করা যায়।
এই কর্মসূচির আওতায় অবসরপ্রাপ্ত লরেন্স সুইট (৭৫)-এর বাড়ির ত্রুটিপূর্ণ ছাদ, বিকল বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেইসমেন্ট মেরামত করা হয়। বৃদ্ধা সুইট আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন—
“ফাউন্ডেশনের সহায়তা না পেলে আমি নিজ বাড়িতে বসবাস করতে পারতাম না। ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে।”
ডেট্রয়েট নগরীর মেয়র মাইক ডুগান জানান, ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের আওতা ও আর্থিক সহায়তার পরিধি আরও দ্রুত বৃদ্ধি করা হবে। বসবাসের অযোগ্য এমন বাড়ির স্বল্পআয়ের মালিকদের “ডেট্রয়েট হাউজিং রিসোর্স হেল্পলাইন”-এর ৮৬৬-৩১৩-২৫২০ নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন মেয়র ডুগান।
মন্তব্য করুন