সাফিয়া সাথী শৈশবেই তার ফ্যাশন যাত্রা শুরু করেন। এ সময়ই তিনি সৌন্দর্যময়তা এবং সৃজনশীলতার প্রতি আগ্রহবোধ করেন। তিনি যতই বড় হচ্ছিলেন, ডিজাইন এবং কাপড়ের প্রতি তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এগুলো তার জাত প্রতিভাকে বিকশিত করছিল। ফ্যাশনের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কেবল একটি শখ নয়, বরং এটি তাঁর জীবনে অনুপ্রেরণার একটি উৎসে পরিণত হয়।
সাফিয়া কৈশোরে পা দিতেই সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর স্বপ্নকে আরো বড় করবেন। তিনি এমন শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা খুঁজতে শুরু করেন, যা তার দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে। তিনি অত্যাধুনিক এবং প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এসময় তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। এর ফলে তার ডিজাইনগুলো অনন্যতার স্বীকৃতি লাভ করে।
এই ডিজাইনগুলো তাঁর সৌন্দর্য ও গ্লামারকে বিকশিত করে তুলে। সবশেষে সাফিয়া তাঁর নিজস্ব ব্রাইডাল পোশাক ডিজাইন হাউস প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে তিনি তাঁর শৈল্পিক ভিশনকে ব্যবহার করেন। তাঁর সৃষ্টি কেবল একটি পোশাক নয়, বরং তার ডিজাইনগুলো ক্লায়েন্টদেরকে বিশেষ দিনে আনন্দময় উপলব্ধিতে সিক্ত করে। প্রতিটি সেলাইয়ে তিনি গভীর ভালোবাসার পথ অনুসরণ করেন। যেখানে তাঁর আবেগ, অনুভূতি এবং সাফল্য মিশে আছে। বাংলাদেশি সেলিব্রিটিদের সাথে সাফিয়া কাজ শুরু করলে ফ্যাশন শিল্পে তাঁর চাহিদা বাড়তে থাকে। এসময় তিনি ইউনিক এবং উজ্জ্বলতায় পূর্ণ ডিজাইনের দিকে নিজেকে মনোনিবেশ করেন। তাঁর সক্ষমতা কেবল পরিধানকারীদের সৌন্দর্যের দিকে নয়, বরং তিনি এ উজ্জ্বলতাকে পুঁজি করে নিজেকে একজন চাহিদাসম্পন্ন ডিজাইন হিসেবে গড়ে তুলতে অনুপ্রেরণা লাভ করেন।
সাফিয়াকে বাংলাদেশি সেলিব্রিটিরা সহযোগিতা শুরু করেন। তারা সোশ্যাল মিডিয়া এবং রিকোমেন্ডেশনের মাধ্যমে প্রমোট করলে সবাই তার কাজের দিকে আকৃষ্ট হন। তাঁর ডিজাইনগুলো মূলত ঐতিহ্যবাহী শিল্প-শৈলীর আধুনিক মোড়কে উপস্থাপিত হয়। এজন্য তাঁর ডিজাইনগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেলিব্রিটিরাও মনে করেন, সাফিয়ার ডিজাইনগুলো তাদেরকে আত্মবিশ্বাসী এবং গ্লামারাস করে তুলেছে। সাফিয়াও ক্লায়েন্টদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে এবং তাদেরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পোশাকে সেই ডিজাইন মানসিকতাকে তুলে ধরেন। এ দক্ষতা শিল্পে তাকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সাফিয়া ডিজাইন শিল্পে একটি উজ্জ্বল নাম
মন্তব্য করুন