বিপিএলের শুরু থেকে আলোচনায় থাকা শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালস হারের বৃত্ত থেকে বের হতেই পারছে না। আজ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে একাদশে ৬টি পরিবর্তন নিয়ে নেমেও ভাগ্য বদলাতে পারল না থিসারা পেরেরার দল।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ ঢাকা ১১১ রানের পুঁজি পেয়েছিল। বল হাতে লড়াই করবে কী, উলটো প্রশ্নবিদ্ধ ওয়াইড আর নোবল মিলিয়ে অতিরিক্ত রানেই বিলিয়েছে ১৫ রান। তাতে ১৪তম ওভারেই ম্যাচ হেরে বসেছে ঢাকা। ছোট লক্ষ্যে নেমে ৪০ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষে নিজেদের স্থান আরও পাকাপোক্ত করল রংপুর। এদিকে টানা ৪ ম্যাচ হেরে টেবিলের তলানিতে ঢাকা।
অল্প পুঁজিতে বল করতে এসে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিশাল এক নো বল করে বসেন ঢাকার আফগানিস্তানি স্পিনার আমির হামজা। ক্রিজের প্রায় আধা ফুট বাইরে পা পড়েছিল বাঁহাতি স্পিনারের। ম্যাচের প্রথম ওভারে ১টি ওয়াইড ও ১টি নো বলে ১০ রান দেন হামজা। এরপর মোস্তাফিজুর রহমান এসে আলেক্স হেলস ও আজিজুল হাকিমকে খানিকটা চাপে রাখেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ক্রিজে ধুঁকতে থাকা আজিজুল হাকিম ১৪ বলে ৫ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
চার ওভারের ওই পিরিয়ডে ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়ায় মনে হয়েছিল ম্যাচে ফিরতে পারে ঢাকা। কিন্তু এরপর থেকেই মন খুলে রান বিলিয়েছে ঢাকার বোলাররা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আলেক্স হেলস আলাউদ্দিন বাবুকে ৪টি বাউন্ডারি মেরে নেন ২০ রান, তাতেই ম্যাচ থেকে একেবারেই ছিটকে পড়ে থিসারা পেরেরার দল। মাঝ ওভারে মোসাদ্দেক-আলাউদ্দিনরাও অতিরিক্ত রান দিয়েছেন। তবে আলেক্স হেলসকে ফিফটি করতে দেননি মোসাদ্দেক। ২৭ বলে ৪৪ রান করে ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেও ম্যাচ জিততে বেশি কষ্ট হয়নি রংপুরের। তবে হেলসকে আউট করার পরই লেগ সাইডের অনেক বাইরে দিয়ে ওয়াইডে চার দিয়েছেন বিপিএলের মাঝপথে ডাক পাওয়া এই অলরাউন্ডার।
শেষ দিকে খুশদিল শাহর ১১ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪তম ওভারেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় রংপুর রাইডার্স।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দিয়েও মাঝ ওভারের ব্যর্থতায় মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। দলটির বড় নামদের কেউই- লিটন দাস (৯), সাব্বির রহমান(২) ও থিসারা পেরেরার(০) মধ্যে কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি।
মন্তব্য করুন