যুক্তরাষ্ট্র থেকে যদি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদেরকে গণহারে বের করে দেন তাহলে মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি। কয়েক দশক আগে হন্ডুরাসে ওই সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার টেলিভিশন ও রেডিওতে দেয়া এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট সিয়াওমারা ক্যাস্ত্রো।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী লাখ লাখ লাতিন আমেরিকার নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছেন ট্রাম্প, তার বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম এমন কঠোর বাক্য প্রথম উচ্চারণ করলেন। এ ইস্যুতে এ মাসে আরও পরের দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক আহ্বান করেছেন মিস ক্যাস্ত্রো এবং মেক্কিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম। মিস ক্যাস্ত্রো বলেন, আমাদের ভাইদের গণহারে বের করে দেয়ার ফলে যে শত্রুতার মুখোমুখি হচ্ছে তারা তার প্রেক্ষিতে আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের নীতির পরিবর্তন করবো। বিশেষ করে সামরিক ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে একটি সেন্টও পরিশোধ না করে তারা আমাদের ভূখণ্ডে সামরিক ঘাঁটি চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে হন্ডুরাসে তাদের অবস্থান হারানোর সব যৌক্তিক উপায় খোয়াবে। পরে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনরিক রেইনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হন্ডুরাসের কয়েক দশকের চুক্তি আছে। কিন্তু হন্ডুরাসের কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই সেই চুক্তি স্থগিত করার ক্ষমতা রাখেন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, ওই চুক্তির ফলে হন্ডুরাসে যুক্তরাষ্ট্র সোটো ক্যানো বিমানঘাঁটি নির্মাণ করার অনুমতি পায়। একই সঙ্গে সেখান থেকে মধ্য আমেরিকায় সবচেয়ে বড় সামরিক টাস্কফোর্স পরিচালনার সুযোগ পায় যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন