নেপালে পালাবদল। সম্প্রতি নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডকে ভোটে হারিয়ে শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরছেন তিনি।
জোটের অন্যতম অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইএমএল) সমর্থন প্রত্যাহারের পর শুক্রবার (১২ জুলাই) অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। যেখানে জয়ের জন্য পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩৮টি ভোট, সেখানে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬৩টি ভোট। ফলে ক্ষমতা গ্রহণের দেড় বছরের মাথায় তাকে সরে যেতে হচ্ছে। এদিকে কেপি শর্মা ওলি পেয়েছে ১৯৪টি ভোট।
শনিবার (১৩ জুলাই) কাঠমান্ডুতে আনুষ্ঠানিক জোট সরকার প্রধান হিসেবে সিপিএন নেতা কেপি শর্মা ওলির নাম ঘোষণা হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড।
২০২৩-এর মধ্যপর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একসময়ের এই গেরিলা যোদ্ধা। কিন্তু এবার ‘চীনপন্থী’ ওলি ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার পাটিগণিতের হিসাবে প্রচণ্ড এখন ‘ব্যাকফুটে’।
প্রচণ্ডের নেতৃত্বেই নব্বইয়ের দশকে নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে মাওবাদীরা। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির পর দেড় দশক আগে নেপাল থেকে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। কিন্তু তারপর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
নেপালে ২০০৮ থেকে সেখানে ১৩ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। আরও একবার পরিবর্তন দেখতে চলেছে নেপালিরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ১৪তম প্রধানমন্ত্রীর নাম স্থির করতে বৈঠক করেন দেউবা ও ওলি। শুক্রবার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটের পরীক্ষায় হেরে যান প্রচণ্ড। আরটিভি
মন্তব্য করুন