মরুর বুকে বছরের প্রথম এল ক্লাসিকো, তা–ও আবার শিরোপার লড়াই। স্প্যানিশ সুপার কাপের এই ম্যাচ জিতলে ট্রফি জেতার পাশাপাশি লা লিগায় হারের শোধও নেওয়া হতো রিয়াল মাদ্রিদের। এমন ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। কিন্তু ম্যাচে রিয়ালের সাফল্য বলতে অতটুকুই। পুরো ৯০ মিনিট ধরে রিয়ালের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছে বার্সেলোনা।
এ দিন বার্সার গতিময় ও আক্রমণাত্মক ফুটবলকে থামানোর কোনো উপায়ই যেন জানা ছিল না রিয়ালের। যে কারণে প্রতিশোধ তো দূরে থাক, কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল। বিধ্বস্ত হয়েছে ৫-২ গোলে। ম্যাচ শেষে দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন রিয়াল কোচ। বিশেষ করে প্রথমার্ধে তাঁর দল ফুটবলই খেলতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন এই ইতালিয়ান। জেদ্দায় বার্সার আক্রমণের সামনে তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছে রিয়ালের রক্ষণ। শুধু রক্ষণই নয়, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগে রিয়ালের পারফরম্যান্স ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র-জুড বেলিংহামদের যেন খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
শিষ্যদের এমন প্রদর্শনীতে ‘ভীষণ হতাশ’ আনচেলত্তি বলেছেন, ‘এটা বাজে একটি রাত। আমরা আমাদের সব সমর্থকদের মতোই হতাশ। আমাদের এটা আড়াল করা উচিত হবে না, এটাই ফুটবল। কখনো আমরা জিতব আবার কখনো হার থেকে আমাদের শিখতে হবে। আমাদের সামনে তাকাতে হবে। জেদ্দার এই ম্যাচে প্রথমার্ধেই ৪-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এত বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নাটকীয় কিছুই করতে হতো রিয়ালকে, কিন্তু সেটি করতে পারেনি ইউরোপের সফলতম দলটি।
ম্যাচে রিয়াল কোথায় ভুল করেছে, তা ব্যাখ্যা করে আনচেলত্তি আরও বলেন, ‘আমরা খুব বাজেভাবে ডিফেন্ড করেছি। এটা খেলায় আমাদের ক্ষতির কারণ হয়েছে। তারা খুব সহজেই গোল পেয়ে গেছে। প্রচল চাপের মুখে আমরা ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পারিনি। বিরতির সময় আমি বলেছি যে আমাদের ফুটবল খেলার চেষ্টা করা উচিত। কারণ, প্রথমার্ধে আমরা ফুটবলই খেলিনি। লং বল খেলেছি, কিন্তু সেটা আমাদের পরিকল্পনা ছিল না। আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছি, সেভাবে খেলতে পারিনি। আমি তাদের বলেছি তারা হারতে পারে কিন্তু প্রথমার্ধে আমরা যে ফুটবল খেলেছি, সেভাবে খেলে নয়।’
মন্তব্য করুন