বাংলা সংবাদ ডেস্ক
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

এখন থেকে কারা আমেরিকার ভিসা পাবেন, জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অধিবাসীদের ধরে ধরে নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে তার প্রশাসন। জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করে আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। এমনকি মার্কিন ভিসা নীতি আরও কঠিন করে তুলেছেন।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে এবার নিজেদের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সব আবেদনকারীর জন্য নয়, এটি সংরক্ষিত একটি বিশেষ অধিকার, ভিসা শুধু তাদের জন্য যারা মার্কিন আইন এবং মূল্যবোধকে সম্মান করে। এক সম্পাদকীয়তে ভিসা যোগ্যতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আপোষহীন দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা তুলে ধরেছেন রুবিও। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ক্যাম্পাস অস্থিরতা এবং বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এই ভিসা নীতি স্পষ্ট করেন রুবিও। ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।

 

গেল জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহু বিদেশি শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন, অনেকের ভিসা বাতিল করেছেন এবং ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ফেডারেল তহবিল হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। রুবিও লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সফর করা কোনো অধিকার নয়। এটি তাদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ যারা আমাদের আইন এবং মূল্যবোধকে সম্মান করে। মার্কিন ভিসা শুধু তাদের জন্য সংরক্ষিত যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও উন্নত করে তোলার চিন্তা করে এবং দেশটিকে ভেতর থেকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে না।’ তিনি লেখেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি এটি কখনোই ভুলব না।

 

মার্কিন প্রশাসনের শূন্য-সহনশীলতার নীতি সম্পর্কে রুবিও বলেন, আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কখনোই সিদ্ধান্তমূলকভাবে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না- যখন তথ্য মিলবে যে, কোনো ভিসাধারী আমাদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করতে পারে, মার্কিন আইন লঙ্ঘন করেছে অথবা অন্য কোনো কারণে ভিসা বাতিল করা প্রয়োজন। ২০১১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন সিনেটে ফ্লোরিডার প্রতিনিধিত্ব করা রুবিও তার বর্তমান ভূমিকা গ্রহণের আগে বলেন, অভিবাসন ও জাতীয়তা আইন (আইএনএ) অনুসারে, ‘এলিয়েন’ যারা সন্ত্রাসবাদের প্রচার বা সমর্থন করে- যার মধ্যে ‘হামাসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে’ সমর্থন করাও অন্তর্ভুক্ত- তারা মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য।

 

সূত্র : ফক্স নিউজ।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাসা ও জলবায়ু বিজ্ঞান তহবিলের ফান্ড কমানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের

বিশ্বে এই প্রথম, জটিল অস্ত্রোপচারে বীর্যে শুক্রাণু মার্কিন নাগরিকের

ইউরি গ্যাগারিন যেভাবে প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশে গেলেন

৩০০০ সালে গ্রিনল্যান্ড অদৃশ্য হয়ে যাবে কি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ফ্রান্সের

মিশিগান হিরোস মিউজিয়ামের উদ্যোগ: ১৩ মে’র সন্ধ্যা কাটান ক্যাপ্টেন ফিলিপসের সঙ্গে

গ্রিন কার্ডের স্বপ্নভঙ্গ: বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে আসা আর সহজ নয়

কনস্যুলেট অফিসে প্রবাসী সেবায় বৈষম্য দূর করতে হবে

‘আর্টেমিস’ চুক্তিতে সই করার জন্য বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিনন্দন

ম্যানহোলের ইতিহাস জানেন? কেন এর নাম ম্যানহোল?

১০

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেট্রোল পাম্প কোথায়?

১১

এক জোড়া জুতার দাম ৩৩৫ কোটি টাকা

১২

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধরত মার্কিন কর্মকর্তার ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু!

১৩

কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার হলেন তৈয়েবুর রহমান

১৪

নিউইয়র্ক সিটির বেষ্ট কমিউনিটি লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন দেলোয়ার

১৫

৩ মে নিউ ইয়র্কে রিয়েল এস্টেট এক্সপো

১৬

স্টেট পর্যায়ে ইতিহাস গড়লো এইচওএসএ টিম

১৭

বাংলা সংবাদ আমার, আপনার, আমাদের সবার

১৮

বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগে ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা

১৯

হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!

২০