যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব পারমাণবিক প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তি সই করবে। সৌদির রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট জানিয়েছেন, বেসামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তি ও জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তি সই করবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক সহযোগিতার বিশদ বিবরণ এই বছরের শেষের দিকে আসবে। এই সহযোগিতা সৌদি আরবে একটি বাণিজ্যিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্প গড়ে তোলার ওপর দৃষ্টি জোর দেবে। মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরবের বেসামরিক পারমাণবিক শিল্প বিকাশে রিয়াদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা আশা করে ওয়াশিংটন।
দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জ্বালানি সচিব বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারী নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি হবে, যা উভয় দেশের জন্যই জয়।’ মার্কিন জ্বালানি সচিব ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং অভিন্ন স্বার্থ অন্বেষণ করতে’ রিয়াদে গিয়ে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং তাদের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমানের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাইট বলেন, সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় জ্বালানি সহযোগিতা, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ খনন ও প্রক্রিয়াকরণ, শিল্প উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিস্তৃত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি মানবজীবন এবং কীভাবে তাদের উন্নতি করা যায় – তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে উভয় দেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, সেগুলোও আলোচনা করা হয়েছে। মার্কিন শুল্ক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাইট ট্রাম্পের বৃহত্তর অর্থনৈতিক এজেন্ডার রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শুল্ক একটি বৃহত্তর কৌশলের একটি উপাদান মাত্র।
মন্তব্য করুন