একই উইকেটে দুই ম্যাচ এবং দুই ম্যাচেই ১৯০ এর ওপর স্কোর দেখেছে। আজ বিপিএলের প্রথম দিনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট পুরোপুরিই ছিল ব্যাটসম্যানদের। সেটা এতটাই যে, প্রথম ম্যাচে দুর্বার রাজশাহী ১৯৭ রান করেও জিততে পারেনি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে ৪০ রানের জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। ঢাকাকে অবশ্য অলআউট করতে পারেনি তারা। ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৫১ রান করেছে থিসারা পেরেরার দল।
বিপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিক পক্ষে আছেন নায়ক শাকিব খানও। দলের প্রথম ম্যাচ দেখতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন তিনি, খেলা দেখেছেন প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে। যদিও ক্রিকেট মাঠে নায়ক শাকিবের অভিষেকটা হলো হার দিয়ে। বড় রানের জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান (২১ বলে ৩০) ও লিটন দাস (২৭ বলে ৩১) ৭.৩ ওভারে ৬৫ রানের জুটিতে ভালো শুরুই এনে দিয়েছিলেন ঢাকাকে। কিন্তু এরপর মাত্র ৩ ওভারের মধ্যে ১০ রানের ব্যবধানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। চারটি উইকেটই নেন রংপুরের অফ স্পিনার মেহেদী হাসান। অষ্টম ওভারে নেন তানজিদ আর তিনে নামা হাবিবুর রহমানের উইকেট। দশম ওভারে ফেরান লিটন ও ফরমানউল্লাহকে।
ঢাকা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তখনই। মিডল অর্ডার বা পরের দিকে আর কোনো ব্যাটসম্যানই পারেননি আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মেলাতে। অবশ্য শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে রান করাটাও একটু কঠিন মনে হচ্ছিল তখন। রংপুরের খুশদিল ২টি এবং কামরুল, রাকিবুল ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। এর আগে ৩ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার স্টিভেন টেলর ও অ্যালেক্স হেলস বিদায় নিলেও রংপুরকে বড় রানের ভীত এনে দেয় সাইফ হাসান ও পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদের ৮৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ৩৩ বলে ৪০ রান করেন সাইফ, ৩৮ বলে ৪৯ রান আসে ইফতিখারের ব্যাট থেকে।
পরে খুশদিল ৩ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেছেন ২৩ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ঝোড়ো ইনিংস। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক নুরুল হাসানের সঙ্গে মাত্র ৩ ওভারে ৪১ রানের জুটি হয় খুশদিলের। আক্রমণাত্মক ছিলেন নুরুলও। ১১ বলে ২৫ রান করেছেন, যার ২৪–ই ৬টি চার থেকে। ঢাকার আলাউদ্দিন বাবু ৪৩ রানে ৩টি ও মুকিদুল ইসলাম ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন