নভেম্বরের নির্বাচনে যদি নির্বাচিত না হতেন ডনাল্ড ট্রাম্প তাহলে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দেয়ার বেআইনি চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হতো। যুক্তরাষ্ট্রে এ বিষয়ে তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন একজন কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আংশিক প্রকাশিত তদন্ত রিপোর্টে স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ লিখেছেন, ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আবার পাল্টা জবাব দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, স্মিথের তথ্য বিভ্রান্তিকর। তিনি যে তদন্ত করেছেন তা ভুয়া।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন ট্রাম্প। কিন্তু তিনি তা মেনে নিতে পারেননি। তখন থেকেই তিনি জেনেবুঝে নির্বাচনে জালিয়াতির বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়। এর জন্য ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। অপরাধ সংঘটনের সময়ে ট্রাম্প ছিলেন প্রেসিডেন্ট। তারপর তিনি চার বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলেন। পরে ২০২৪ সালের ৫ই নভেম্বরে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউসের টিকেট পেয়েছেন। আগামী ২০শে জানুয়ারি সেই হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নেয়ার কথা। নতুন করে নির্বাচিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনগত অনেক ইস্যু রাতারাতি বাতাসে মিলিয়ে গেছে।
নির্বাচনের ফল বদলে দেয়ার যে মামলা আছে তা খারিজ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় জ্যাক স্মিথের তদন্তের যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তার অনেকটা অক্টোবরেই জানা যায়। এই রিপোর্ট এখন যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে কংগ্রেসের কাছে। তাতে আরও বিস্তারিত তথ্য আছে। এতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে হুমকি ও সহিংসতাকে উস্কানি দেয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বেআইনিভাবে অপ্রত্যাশিতভাবে ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগকে সত্য বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প জেনেবুঝেই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন মিথ্যাভাবে। তদন্তকারীরা যেসব উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন তার বিস্তারিত আছে এতে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচারে বাধা দেয়। এ জন্য এই মামলা ক্লোজ করা হয়েছে।
সুত্রঃ বিবিসি
মন্তব্য করুন