শীতকালে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক স্কিইং আর কাশ্মীরের দৃষ্টিনন্দন রূপে আপ্লুত হন। ভূস্বর্গ এই পর্যটনা এলাকায় গত বছর ১ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছিল জানুয়ারিতে কিন্তু গুলমার্গে তুষারহীন এমন মরুময় চিত্রের কারণে ঐ এলাকার পর্যটন নতজানু হয়ে পড়েছে এবারের ভরা শীতে। এবং এবার সেই সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। বিশেষজ্ঞদেড় মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের মোট জিডিপির সাত শতাংশ অবদান পর্যটন শিল্পের। ফলে পর্যটনহীন শীত মৌসুম এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ভয়ানক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি তুষারহীনতার কারণে কৃষি ও পানির সরবরাহেও ব্যাঘাত ঘটাবে।
জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এ উপত্যকাটি উষ্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হচ্ছে যেমন গত মাসে ৭৯ শতাংশ বৃষ্টিপাত ঘাটতি রেকর্ড করেছে জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়া বিভাগ যা বর্তমান মাস জানুয়ারিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে শতভাগে।
তাই অচেনা আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতে ও যেমন, অসংখ পর্যটক হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন । অনেক পর্যটক এলাকাটি দেখেই চলে গেছেন কারণ স্কিইং আর বরফে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার সুযোগ পান নাই অনেকেই। পর্যটক কমে যাওয়াতে স্থানীয় ব্যবসাতেও পড়েছে ব্যাপক প্রভাব কারণ শীতকালে আসা পর্যটকদের ওপর নির্ভর করেই জীবিকা নির্বাহ করে সেখানকার স্থানীয়রা।
মৎস্য চাষ এবং কৃষি উৎপাদন কে প্রভাবিত করবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা কারণ সেখানকার চাষাবাদ নির্ভর করে হিমবাহ বা তুষারের ওপর। শীতের এই সময়টাতে তুষারপাত না হওয়ার ফলে বসন্তে গিয়ে পানির বড় সংকট তৈরি হবে যার ভুক্ত ভুগি হবেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন