উদ্যোক্তা মানে যোদ্ধা। সাহসী না হলে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। ব্যবসা করতে হলে নারীদের সাহসী হতে হবে। তা না হলে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। প্রতিটি নারীর সফলতার পিছনে থাকেন তিনি নিজেই। কারণ তার ইচ্ছা শক্তি এবং মনোবল,তাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে দূর থেকে বহুদূর। তেমনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হলেন যুক্তরাষ্ট্র মিশিগানের শারমিন ফারজানা চৌধুরী।
শারমিন তানিম চৌধুরী একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। দেশের নারীদের অনুকরণীয় শারমিন তানিম নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে অনলাইন ব্যবসাকে প্রমোট করে যাচ্ছেন। দেশ বিদেশে যে ক’জন নারী উদ্যোক্তা নারীদের নিয়ে অন্যতম ভুমিকা রাখছেন, তাদের একজন হলেন শারমিন ফারজানা।
তিনি একজন গৃহিনী। বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব মিশিগানের অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। এই পেশার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে ভায়োলটস নামে একটি ফেইসবুক পেইজ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। যেখানে তিনি সাধারণত ছোট ব্যবসায়ী বোনদেরকে প্রমোট করে থাকেন।
ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ফরজানার উদ্যোগতা হওয়ার প্রতি আগ্রহ ছিল। তখন থেকেই তিনি ভেবেছিলেন তার শখকে পেশা বানাবেন এবং নিজের একটি আলাদা পরিচয় গড়ে তুলবেন। সব সময় মনে করতেন নিজে কিছু করবেন। তার সেই লালিত স্বপ্নকে আজ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিজেকে তৈরি করে চলেছেন অবিরত।
ভায়োলটস নামের একটি অনলাইন পেজ খুলার মাধ্যমেই অনলাইন ব্যবসায়ী বোনদের নিয়ে প্রথম যাত্রা শুরু উনার।
স্বপ্ন মানুষের একটি মানসিক অবস্থা, যাতে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে। এই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে আমাকে স্বপ্ন দেখা Violets।
ওয়ারেন সিটির আড্ডা নামে তিন জনের শেয়ার নিয়ে একটি রেস্টুরেন্ট আছে উনার।
নারী যে আজ আত্মনির্ভরশীল। তারই প্রমাণ করার জন্যই শারমিন তানিমের এই উদ্যোগ। তিনি সফল গৃহিণী এবং মা হিসেবে নয় পাশাপাশি নিজেকে দেখতে চেয়েছিলেন একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে।
‘বিয়ের পর ঘর সামলানোর পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে চেয়েছিলাম সবসময়।স্বাবলম্বী হওয়ার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালে শুরু করেন তিনি। এর পর থেকে একটু একটু করে পথচলা।’
তিনি মনে করেন, একজন উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক বেশি ধৈর্য্য, ইচ্ছা শক্তি, ও মনোবল থাকতে হবে। আর বর্তমানে বেশিভাগ উদ্যোক্তাই যেহেতু কাজ করছে অনলাইন ভিত্তিক। তাই ই-কমার্স সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান বা ধারণা থাকা দরকার।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শুরুর দিকে অনেকটা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় উনাকে। নতুন হিসেবে এই অনলাইন জগতে কিছুটা সংগ্রামও করতে হয়েছে উনাকে। এছাড়া পাশে থেকে সার্পোট দিয়েছে শুভাকাঙ্খীরা। তিনি মনে করেন এমন পরিস্থিতিতে আরো দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে লেগে থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: মিশিগানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছেন বাংলাদেশি ব্লগার ওয়াহিদা
নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে শারমিন তানিম বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারীদের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ উদ্যোক্তা হওয়া। এখন নারীরা ঘরে বসে নিজের উদ্যোগে সৎভাবে নিজেকে সাবলম্বী করে তুলছেন। নারীরা চাইলে নিজের সংসার সন্তান সামলিয়ে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। কথায় আছে, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।’
এই কাজে কে বেশি অনুপ্রানিত করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কাজে আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রানিত করেছে আমার পরিবার। তারা আমাকে উৎসাহ দেয় আমার কাজ কে এগিয়ে নেয়ার জন্য। বিশেষ করে আমার স্বামী আমার পাশে না থাকলে আমি সাহস পেতাম না এতো দূর এগিয়ে যাওয়ার।
তিনি এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। এখন তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একটাই তার ভায়োলটস পেইজকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়া। শারমিন তানিম বলেন ‘শেখার কোন শেষ নেই, তাই শিখতে চাই আরও অনেক কিছু ।’
মন্তব্য করুন