সিঙ্গেল মাদার (একক মা) কেটি রিস্টার।
বর্তমানে তিনি আবাসন খরচ নিয়ে মেন্টাল স্ট্রেস (মানসিক চাপ) এ পড়েছেন।
কিছুদিন ধরে মেডিক্যাল লিভ (চিকিৎসা ছুটি) এ থাকার জন্য তাকে হাউস রেন্ট (বাসা ভাড়া) দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রিস্টার জনান, “এত খরচ সামলানো আমার জন্য সত্যিই কঠিন। বলতে পারেন আমি একটা শক্ত বাঁধার মধ্যে আছি। আর আমি জানি না এখান থেকে কিভাবে ঘুরতে হবে।”
রিস্টার তার বাচ্চাদের খরচ চালানোর জন্য সপ্তাহে প্রায় ৯০ ঘন্টা কাজ করেন। কিন্তু তাতেও তিনি পেরে উঠছেন না।
রিস্টারের মত এখন অনেক আমেরিকানরা এমন মানসিক চাপে ভূগছেন।
সম্প্রতি আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (এপিএ)-এর একটি নতুন রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের (বিশেষ করে কর্মজীবীদের) মধ্যে মানসিক চাপ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এপিএ-এর মনোবিজ্ঞানী ডক্টর লিন বুফকা বলেন, “শুধু এখনই নয়, সামনের দিনগুলোতে মানুষের উপর আরও বেশি মানসিক চাপ পড়বে। যা খুবই উদ্বেগজনক।”
এপিএ রিপোর্ট বিশ্লেষণে জানা যায়, মানসিক চাপ বৃদ্ধির জন্য বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, জাতিগত সহিংসতা, অপরাধ, এবং জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী।
করোনা (কোভিড-১৯) মহামারীও এক্ষেত্রে কিছু প্রভাব রয়েছে।
তাছাড়া রিপোর্ট অনুযায়ী চলতি বছরে ২৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক বলেছেন, তাদের মানসিক চাপ এতটাই খারাপ যে তারা কাজ করতে পারছেন না অথবা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
ডক্টর লিন বুফকা জানান, মানসিক চাপের ফলে রাগ বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, কর্মক্ষমতা হ্রাস, উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি, ক্লান্তি, বিষণ্নতা, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তাছাড়া, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে মানসিক চাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণসহ স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে।
সুতরাং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
ডক্টর বুফকা মনে করেন মানসিক চাপ মোকাবিলা করাটাই এখন মুখ্য বিষয়। এজন্য তিনি কাজের ফাঁকে ব্রেক (বিরতি) নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এছাড়াও তিনি আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন তাহলো: শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোযোগ দেওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা (বিশেষ করে যোগব্যায়াম করা), অ্যালকোহল জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম গ্রহণ করা এবং অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমনো।
(ফিচারটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
আরোও পড়ুনঃ স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস অক্টোবর
মন্তব্য করুন