জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার মতে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত হল অভিবাসনের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বিপদসঙ্কুল স্থলপথ।
অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন বা আইওএমের সর্বসাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দেখা গেছে, বিপজ্জনক মরুভূমি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রতি বছর শত শত মানুষ প্রাণ হারান।
তাদের তথ্য দেখাচ্ছে, ২০২২ সালে আমেরিকা জুড়ে ১৪৫৭ জন মৃত ও নিখোঁজ অভিবাসন-প্রত্যাশীর তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত অঞ্চলেই ৬৮৬টি মৃত্যু ও নিরুদ্দেশের ঘটনা ঘটেছে।
মধ্য ও উত্তর আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল বিষয়ক আইওএমের আঞ্চলিক অধিকর্তা মাইকেল ক্লেইন সলোমন এই বিবৃতিতে বলেন, “এই তথ্য নিয়ে দেশগুলির শেষ পর্যন্ত করণীয় হল, অভিবাসনের নিরাপদ ও নিয়মিত যাত্রাপথ যাতে সহজলভ্য হয় তা নিশ্চিত করা।”
জাতিসংঘের এই সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৪ সালে আইওএমের নিখোঁজ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে গোটা বিশ্বজুড়ে ২০২২ সাল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ বছর।
আইওএমের বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ঘটা মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক ঘটেছে সোনোরান ও চিহুয়াহুয়া মরুভূমিতে। এতে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃত সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হওয়ার আশংকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রদেশগুলি যেখানে মেক্সিকোর সীমান্তে রয়েছে সেখানকার স্থানীয় কর্মকর্তা ও মেক্সিকান অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থাগুলির কাছে অনেক তথ্য নেই।
১৯৯৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ৮ হাজারের বেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীর মৃত্যু নথিভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত টহলদারি দল। অভিবাসীদের সমর্থকরা বলছেন , এই হিসেবটা সম্ভবত অনেক কম করে দেখানো হয়েছে।
ভিওএ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের মৃত্যুর সবচেয়ে হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়েছিল, কিন্তু ২০২৩ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যাটা কত তা তারা জানায়নি।
মন্তব্য করুন