বাংলাদেশের হাইকোর্ট বলেছে, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোনও সাংবাদিক তার সংবাদ তথ্যের উৎস (সোর্স) কারও কাছে প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। হাইকোর্টের এমন রায়কে সাধুবাদ জানাই। সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় বাকস্বাধীনতা অপরিহার্য একটি বিষয়।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টি সকলের সম্মুখে তুলে ধরার চেষ্টা করেন সাংবাদিকগণ, সেক্ষেত্রে অজস্র বাধা বিপত্তি এমনকি জীবননাশের হুমকিও পেতে হয় সাংবাদিকদের। এই সকল প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে সাহসের সাথে সাংবাদিকগণ সত্য তথ্য উৎঘাটনে অবিচল থাকেন।
সেক্ষেত্রে নিউজের সোর্স গোপন রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় আমাদের মতামত হলো, সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা সাংবিধানিকভাবে এবং আইনত দুর্নীতি এবং দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে সংবাদ পরিবেশন করতে পারবেন।’
আদালত আরও বলে, বর্তমান সময়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে হলুদ সাংবাদিকতা গ্রহণযোগ্য ও সমর্থনযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলে, সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমের মনোযোগী হওয়া উচিত।’ আমরাও মনে করি গণমাধ্যমের কাজ হলো জনগণকে সজাগ করা, সমাজের প্রকৃত চিত্র জনগণের নিকট তুলে ধরা।
আমরা মনে করি আদালতের এই রায়ের ফলে বাংলাদেশের সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা আরও গতিশীল হবে। সত্যনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলে জনগণের আস্থা অর্জন করা যায়। সাংবাদিকগণ সাহসের সঙ্গে সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরবেন এটাই প্রত্যাশা।
মন্তব্য করুন