চলতি বিশ্বকাপে এটি অস্ট্রেলিয়ার টানা দ্বিতীয় হার। এর আগে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আর টানা দুই ম্যাচ জিতে রান রেটে এগিয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ৩১২ রান। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানো তো দূর, প্রোটিয়াদের কাছে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার লখনৌর ইকানা স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। আগে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রানের বড় পুঁজি পায় টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের ৩১১ রান তাড়া করতে নেমে ১৭৭ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অধিনায়ক বাভুমাকে নিয়ে ২০ ওভারের মধ্যেই দলের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান ডি কক। বাভুমা ছন্দে ছিলেন না মোটেও, ৫৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংসেই ক্যাচ দিয়ে বাঁচেন তিনবার। তবে ডি ককের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রান নিয়ে ভাবতে হয়নি। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতির ইনিংসে এ দিনও ছিল স্ট্রোকপ্লের পসরা। ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা, সবকটি ছক্কাই এসেছে লেগ সাইডে বিহাইন্ড দ্য স্কয়ারে। কামিন্সকে পুল করে মারা অমন একটি ছক্কায় ৯০ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় সেঞ্চুরিটি পান তিনি।
ম্যাক্সওয়েলের বলে ডি কক যখন বোল্ড হয়ে ফেরেন, প্রোটিয়াদের রান তখন ৩ উইকেটে ১৯৭। হাতে ছিল ১৫.১ ওভার। শেষ দিকে প্রত্যাশিত মাত্রায় বড় ঝড় তুলতে পারেননি হাইনরিখ ক্লাসেন-ডেভিড মিলাররা। মার্করামের ৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংসের সুবাদে অবশ্য ৩০০ পার হয় স্কোর। স্টার্কের করা ইনিংসের পঞ্চাশতম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে আসে মাত্র ১ রান। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু রান কম হয়ে গেছে মনে হলেও শেষ পর্যন্ত এর কাছাকাছিও যেতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩১১/৭ (ডি কক ১০৯, মার্করাম ৫৬, বাভুমা ৩৫; ম্যাক্সওয়েল ২/৩৪, স্টার্ক ২/৫৩)।
অস্ট্রেলিয়া : ৪০.৩ ওভারে ১৭৭ (লাবুশেন ৪৬, স্টার্ক ২৭, কামিন্স ২২; রাবাদা ৩/৩৩, মহারাজ ২/৩০)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৪ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : কুইন্টন ডি কক
মন্তব্য করুন