বাংলাদেশিদের কোন মসজিদ নেই ইতালিতে, যা আছে সবই ইসলামিক কালচারাল সেন্টার (চেন্ত্রো কুলতুরালে ইসলামিকো)। রাজধানী রোম সহ বিভিন্ন শহরে অফিস বা দোকানপাটের জন্য বরাদ্দকৃত স্থান কিংবা কোন ভবনের নিচতলায় গাড়ির গ্যারেজ বা গোডাউন ভাড়া করে (খুব কম ক্ষেত্রে ক্রয় করে) নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের নামে।
এই ধরনের সেন্টার ইতালীয় প্রশাসন অনুমোদন দিয়ে থাকে মূলত অভিবাসীরা যাতে তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি ধারণ করতে পারে রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনকানুনের প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান রেখে। নামাজ মুসলমানদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।
ইতালীয় প্রশাসন এদেশে ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের অনুমোদন দিয়ে সেখানে নামাজ আদায়ে কোন প্রকার বাধা প্রদান করে না, কারণ নামাজ আদায়কে তারা ইসলামী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ধরে নেয়।
কিন্তু ইতালি জুড়ে যারা এই ধরনের ধর্মীয় সেন্টারগুলো পরিচালনার দায়িত্বে আছে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশিরা, তাদের একটা বড় অংশ বছরের পর বছর ধরে ইতালীয় আইন কানুন বিধি বিধানের প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আসছে মনের মাধুরি মিশিয়ে।
ইতালিতে বাংলাদেশিদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক (সব নয়) ইসলামিক কালচারাল সেন্টার তথা আন-অফিসিয়াল মসজিদ সমূহ বেশ আগে থেকেই পরিণত হয়েছে রকমারি ব্যবসায়িক ধান্ধাবাজি, সুপরিকল্পিত চাঁদাবাজি ও অনিয়মের কেন্দ্রে।
শুধু তাই নয়, নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বিপদের দরজা তথা ইমারজেন্সি এক্সিটের অপ্রতুলতা কিংবা তা থাকলেও সেটিকে কার্যকর না রাখা, পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা না রেখেই লোকেশন ভাড়া নেয়া, নামাজের পর মসজিদের সামনে কিংবা আশপাশের এলাকায় বেহুদা আড্ডাবাজি, উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি করে এলাকায় স্থানীয় অধিবাসীদের চরম বিরক্ত করা এমনকি রাস্তাঘাট অপরিচ্ছন্ন করা, মসজিদের ভেতর কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই ফ্রি স্টাইলে রান্নাবান্না কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা, সবই করা হচ্ছে যে যেভাবে পারছে।
কিন্তু সময় সবসময় যাবে না সমান, এটা কি তারা বুঝতে পারছে? ইতালির নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে দ্রুত বদলে যান, নয়তো প্রশাসন বদলে দেবে। তখন ছোট হবে আপনার আমার আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন