দিনে কমপক্ষে ৪ হাজার পা হাঁটলে সুঠাম থাকবে শরীর। কমবে অকাল মৃত্যুঝুঁকি। এছাড়া দিনে ২ হাজার ৩৩৭ পা হাঁটলে হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির রোগে যেসব মৃত্যু হয় সেসবের ঝুঁকি কমে যেতে পারে।
ইউরোপীয় জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নরওয়ে, স্পেন, যুক্তরাজ্যে সম্পাদিত ১৭টি গবেষণায় প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার জনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ২০ হাজার পা হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিনা তা খুঁজে দেখতে গবেষণাটি করা হয়েছে।
এক ইমেইলের প্রধান গবেষক ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির ডেপুটি এডিটর-ইন-চিফ, ম্যাকিয়েজ বানাচ বলেন, ‘আপনি যত বেশি হাঁটবেন আপনার স্বাস্থ্যের ওপর তত ভালো প্রভাব পড়বে। আর প্রতিদিন ৫০০-১০০০ পা করে হাঁটা বৃদ্ধি করলে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমতে পারে।’
ম্যাকিয়েজ বানাচ মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই গবেষণায় দেখিয়েছি দিনে ১ হাজার করে পদক্ষেপ বৃদ্ধি যে কোনো ধরনের মৃত্যুঝুঁকি ১৫ শতাংশ কমাতে পারে। আর দিনে ৫০০ করে পদক্ষেপ বৃদ্ধি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি ৭ শতাংশ কমাতে পারে।’
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন আনুমানিক ৪ হাজার পা হাঁটলে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমলেও ৭ হাজার পা হাঁটা বেশি কার্যকরী হয়। তবে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে প্রতিদিন ২০ হাজার পা হাঁটা। যদিও ২০ হাজার পা হাঁটার সুবিধা প্রমাণের জন্য ডেটা সীমিত ছিল গবেষণাটিতে।
গবেষণাটিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা যখন দিনে ৬ হাজার থেকে ১০ পা হাঁটেন তখন তাদের অকাল মৃত্যুঝুঁকি ৪২ শতাংশ কমে। আর যদি ৬০ বছরের কম বয়সীরা দিনে ৭ হাজার থেকে ১৩ হাজার পা হাঁটেন তাদের ঝুঁকি কমে ৪৯ শতাংশ। এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা। এতে শুধু প্রতিদিনের পদক্ষেপের বা হাঁটার সংখ্যা ও স্বাস্থ্যের মধ্যে একটি সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। হাঁটার সঙ্গে মৃত্যুঝুঁকি কমার সরাসরি কারণ ও প্রভাব বর্ণনা করা হয়নি।
মন্তব্য করুন