বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেলন। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাতে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারাদেশে প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারী কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার মধ্যে গত ১৯শে জুলাই দিবাগত রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ই আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকারকে সহায়তা দিতে সারাদেশে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন