দিনভর আনন্দ আর উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধু মহল অব বিয়ানীবাজার মিশিগান ইউএসএ-এর বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ারেনের হলমিচ পার্কে আয়োজিত উক্ত বনভোজনটি বাংলাদেশি কমিউনিটির মিলনমেলায় পরিণত হয়।
গত রবিবার (২৩ জুলাই) আয়োজিত বনভোজনে সংগঠনের পরিবারের সদস্যসহ অতিথিরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার পাশাপাশি আনন্দ বিনোদনের নানা আয়োজন অংশগ্রহণ করেন। দিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ছিলো রাফেল ড্র। ছোট-বড় প্রায় সকলেই লটারী ক্রয় করেন এবং র্যাফেল ড্রয়ে নিজের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রত্যাশা করেন।
উপস্থিত অতিথিরা বলেন, বন্ধু মহল অব বিয়ানীবাজার মিশিগানের আয়োজনে আজকের বনভোজনে আসতে পেরে ভালো লেগেছে। ব্যস্ততার জন্য অনেক আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা হয়ে উঠেনা। বনভোজন উপলক্ষে তাদের সাথে দেখা হয়। এটি অনেক বেশি আনন্দের। এছাড়াও বিভিন্ন সিটি থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বনভোজনে অংশ গ্রহণ করায় এটি একটি মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে। মনে হচ্ছে এক টুকরো বাংলাদেশ।
বনভোজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিশিগানের সর্বস্তরের সম্মানিত মুরুব্বিয়ান এবং প্রতিটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, নিশিগানের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত হয়েছেন ওয়ারেন-হ্যামট্রামিক সিটির রানিং কাউন্সিল ম্যান ও মিশিগান প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন মিশিগান থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল ফেরদৌসসহ বাঙালী কমিউনিটির প্রায় তিন হাজার সদস্য।
সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জয়নাল আবেদীন পিপলু বলেন, প্রবাস জীবন ব্যস্ত জীবন। এই জীবনকে একটু আনন্দ-বিনোদন দেয়াই এই বনভোজনের লক্ষ্য। ভবিষ্যতে এই আয়োজনে ধারাবাহিকতা থাকবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশাল ইভেন্টি পরিচালনা ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে পারে উল্লেখ করে পিপলু বলেন, পুরো আয়োজনকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান রইল। পাশাপাশি বিশেষ ধন্যবাদ জানান, ইয়াং স্টার ও যারা অর্থ, শ্রম আর মেধা দিয়ে সর্বক্ষেত্রে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তাদের।
মধ্যাহ্ন ভোজের পর র্যাফেল ড্র এবং বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে বন্ধু মহল অব বিয়ানীবাজার মিশিগান ইউএসএ-এর বার্ষিক বনভোজনের সমাপ্তি ঘটে।
মন্তব্য করুন