বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক অনেক টানা-হেঁচড়ার পর শেষ পর্যন্ত ৪৪০০ কোটি ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি টুইটার কিনে নিলেন। মালিকানা পাওয়ার পর ই. মাস্ক টুইট করেন “দি বার্ড ইজ ফ্রি।”
টুইটারের প্রতীক একটি পাখি। কোম্পানির মালিকানা হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই তিনি টুইটারের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল এবং ঊর্ধ্বতন বেশ ক’জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
টুইটারের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা নেড সেগাল এবং আইন ও নীতি বিষয়ক প্রধান বিজয়া গাডডেও বিদায় নিয়েছেন। রয়টর্স বার্তা সংস্থা খবর দিয়েছে, মি. আগরওয়াল এবং আরও দুজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে সানফ্রানসিসকোতে টুইটারের সদর দপ্তরের অফিস ভবনের বাইরে বের করে দেয়া হয়।
টুইটারের সাবেক চেয়ারম্যান ব্রেট টেইলর তার লিংকডইন প্রোফাইল আপডেটে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আর টুইটারের সাথে আর নেই। টুইটার কেনার আগে মাসের পর মাস ধরে আইনি টানা-হেঁচড়া চলেছে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, ইলন মাস্ক অত্যন্ত প্রভাবশালী এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে কিভাবে চালাবেন। ই. মাস্ক, যিনি “শতভাগ বাক স্বাধীনতার” সমর্থক টুইটারের ব্যবস্থাপনা এবং মডারেশন বা মিতাচার নীতির সমালোচক ছিলেন।
ক্রয়ের শর্ত নিয়েও সাবেক মালিক পক্ষের সাথে ইলন মাস্কের অনেক বিরোধ হয়েছে। তার অভিযোগ ছিল টুইটারের ব্যবহারকারীর প্রকৃত সংখ্যা তাকে দেওয়া হয়নি।
তিনি এও বলেছেন অনেক যেসব ব্যবহারকারীকে টুইটার নিষিদ্ধ করেছে তাদেরকে তিনি ফিরিয়ে আনবেন।
ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যাকে ২০২১ সালে জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার পর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তিনিও টুইটারে ফিরে আসতে পারেন।
ইলন মাস্ক মনে করেন মি. ট্রাম্পকে এভাবে নিষিদ্ধ করা “বোকামি” হয়েছে। কিছু কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, শুধু সিনিয়র নির্বাহীরাই নয়, টুইটার থেকে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। এমনও গুজব উঠেছে ৭৫ শতাংশ কর্মীরই চাকরি চলে যেতে পারে।
তবে টুইটার এবং ইলন মাস্কের আরেক কোম্পানি টেসলার একজন বড় মাপের শেয়ারহোল্ডার বিবিসিকে বলেছেন টুইটারে প্রচুর মেধাবী কর্মী রয়েছে যাদেরকে বের করে দেওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
সূত্রঃ বিবিসি
আরও পড়ুনঃ টেসলা বাজার থেকে ১১ লাখ গাড়ি তুলে নিচ্ছে
মন্তব্য করুন