স্ট্রোক একটি গুরুতর রোগ যা মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ফলে কোষের মৃত্যু হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন নাশের সম্ভাবনা থাকে।
এজন্য এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের জরুরী চিকিৎসা অপরিহার্য। একজন ব্যক্তি যত তাড়াতাড়ি স্ট্রোকের চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তত কম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্ট্রোক রোগের লক্ষণ
ক) মুখ, বাহু বা পায়ে, বিশেষ করে শরীরের একপাশে হঠাৎ অসাড়তা বা দুর্বলতা অনুভব হওয়া।
খ) হঠাৎ বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়া অর্থাৎ কথা বলতে সমস্যা বা কথা বুঝতে অসুবিধা হওয়া।
গ) হঠাৎ এক বা উভয় চোখ দিয়ে দেখতে সমস্যা হওয়া।
ঘ) হঠাৎ হাঁটতে সমস্যা, মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো বা সমন্বয়ের অভাব দেখা দেওয়া।
ঙ) কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই প্রচন্ড মাথা ব্যথা করা।
স্ট্রোক কি নিরাময় করা যায়?
এককথায় উত্তর হ্যাঁ, স্ট্রোক নিরাময় করা যেতে পারে। তবে এটি দুটি পর্যায়ে ঘটে। প্রথম পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডাক্তাররা মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ পুনরুদ্ধার করার জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসা দিয়ে থাকেন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রভাব নিরাময়ের জন্য পুনর্বাসনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
কেন দ্রুত স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা উচিত?
দ্রুত স্ট্রোক চিকিৎসা জীবন বাঁচাতে পারে। যদি স্ট্রোক হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। তাছাড়া দ্রুত চিকিৎসা স্ট্রোকের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবকে কমিয়ে দিতে পারে এবং এমনকি মৃত্যুও প্রতিরোধ করতে পারে।
পানীয় জল কি স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে?
প্রচুর জল পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ গ্লাস জল পান করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা যায়, পানীয় জল স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫৩ শতাংশ কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করবেন?
এটি স্ট্রোকের ধরণের উপর নির্ভর করে। ডাক্তার আক্রান্ত রোগীদের অ্যাসপিরিন বা শক্তিশালী ক্লট-বাস্টিং ওষুধ দিয়ে থাকেন। স্ট্রোকের লক্ষণ শুরু হওয়ার ৩ ঘন্টার মধ্যে এই ওষুধ সেবন করলে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। যদি স্ট্রোক রক্তনালী ফেটে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে, তবে ডাক্তাররা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তপাত বন্ধ করার চেষ্টা করে থাকেন।
স্ট্রোক সম্পর্কে আরও তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন