প্রকৃতির পালাবদল জানান দিচ্ছে, এসে পড়েছে শীত। রাজধানী ঢাকার আবহাওয়ায় এখনও খুব বেশি শীতের প্রভাব না পড়লেও ঢাকার বাইরে বেশ ভালোভাবেই শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে।এই সময় অন্যতম একটি কঠিন কাজ হলো আলস্য ছেড়ে শীতের সকালে বিছানা থেকে ওঠা। তবে কাজের প্রয়োজনে আরামদায়ক বিছানা ছাড়তেই হয়।
তাই শীতের সকালে ঝটপট ঘুম তাড়াতে এবং একইসঙ্গে আরাম ও পুষ্টি পেতে চুমুক দিতে পারেন উষ্ণ কোনো পানীয়তে। শীতের সকালে কোন পানীয়গুলো উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আদা-লেবু চা
আদা এবং লেবুও চা শীতের সকালের জন্য একটি উপকারী পানীয় হতে পারে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরকে উষ্ণ করতে এবং পেশী প্রশমিত করতে সাহায্য করে। লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মৌসুমী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই চা তৈরি করার জন্য গরম পানিতে কয়েক টুকরা আদা যোগ করুন এবং অর্ধেক লেবু চেপে নিন। এবার চুমুক দিন উষ্ণ এই পানীয়তে।
হলুদ দুধ
গোল্ডেন মিল্ক, হলুদ দিয়ে তৈরি একটি পানীয়। এটি প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। হলুদে কারকিউমিন রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়। গরম দুধে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মেশান, তার সঙ্গে যোগ করুন এক চিমটি কালো মরিচ (শরীরে কারকিউমিন শোষণ করতে সাহায্য করার জন্য), এবং ইচ্ছা হলে মধু দিয়ে মিষ্টি করুন।
দারুচিনি-মধুর পানি
দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রণ আপনার বিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। দারুচিনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে, এটি শীতের সকালের পানীয় হিসেবে দুর্দান্ত। শুধু একটি দারুচিনির টুকরা বা আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া গরম পানিতে যোগ করুন, এরপর এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নাড়ুন। শীতের সকালে এই পানীয় আপনার জন্য দারুণ আরামদায়ক হবে।
ক্যামোমাইল-ল্যাভেন্ডার চা
ক্যামোমাইল এবং ল্যাভেন্ডার শান্ত প্রভাবের জন্য সুপরিচিত, এই চা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতেও কাজ করে। বিশেষ করে শীতের মাসগুলোতে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। ক্যামোমাইল হালকা ধরনের তাই হজমে সহায়তা করে, ল্যাভেন্ডার প্রশান্তিদায়ক সুবাস যোগ করে। এই চা তৈরি করার জন্য কয়েক মিনিটের জন্য গরম পানিতে ক্যামোমাইল এবং ল্যাভেন্ডার মিশিয়ে জ্বাল দিন। তৈরি হয়ে গেলে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
মন্তব্য করুন