সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফলে ৯৩ শতাংশ মেধায় এবং ৭ শতাংশ কোটার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তাঁরা। ‘বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলন’ শীর্ষক সংগঠনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মো. মেহেদী হাসান এবং আবু জাফর মো. সালেহ বলেন, ‘গত ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটাসংক্রান্ত আগের সব পরিপত্র/ প্রজ্ঞাপন/ আদেশ/ নির্দেশ/ অনুশাসন রহিত করা হয়েছে, তাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৯৩ শতাংশ মেধা এবং ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণ করতে আইনগত কোনো জটিলতা থাকার কথা নয়। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ℅মেধা এবং ৭℅শতাংশ কোটা অনুসরণের দাবিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে তিন দিন মানববন্ধন করেছি। সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন আন্দোলনের পরিবর্তে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানাতে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী মানববন্ধন কিংবা আন্দোলনের পরিবর্তে আমরা মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।’
আবু জাফর মো. সালেহ বলেন, ‘কোটাবৈষম্যের বিরুদ্ধে এত প্রাণহানির পর কোনো অবস্থাতেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯–এ উল্লিখিত কোটা বহাল থাকতে পারে না। কোটাবৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে নারী-পুরুষনির্বিশেষে মেধাবীদের নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা দুই দফা দাবি পেশ করছি, যা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পূরণ করতে হবে।’
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ মেধা এবং ৭ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত শূন্যপদের বিপরীতে সর্বোচ্চসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
মন্তব্য করুন