গত রোববার বিকাল ৫ টায় হ্যামট্রামিকে সনাতন সংঘের আয়োজনে রথযাত্রা উদযাপিত হয়। রথযাত্রার শোভাযাত্রাটি বেলমন্ট ও গ্যালাগার পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে হ্যামট্রামিক সিটি হলে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে কীর্তন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করা হয়। বিপুল সংখ্যক ভক্তবৃন্দের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আরও আনন্দমুখর করে তোলে।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৩ তম ডিস্ট্রিকের কংগ্রেসম্যান শ্রী থানেদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হ্যামট্রামিক সিটির মেয়র প্রো-টেম আবু মুসা, কাউন্সিলম্যান কামরুল হাসান, কাউন্সিলম্যান মুহিত মাহমুদ এবং সিটি ম্যানাজার ম্যাক্সওয়েল গার্বারিনো। আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৃদুল কান্তি সরকার।
রথযাত্রার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অনিল বৈদ্য, টেম্পু চত্রী, অতুল দস্তিদার, জিতেশ আচার্য্য, প্রদীপ লস্কর, বাবুল পাল, ফনি ভূষন দেব, পরেশ দেবনাথ, সুভাশ দাশ, রন্জিত দাস, তপন বিশ্বাস, রজত চক্রবর্তী, অরুপ রতন বৈদ্য, সুনীল বৈদ্য, আকাশ বর্ধন, সন্জয় পাল, কানন পাল, শিপ্রা বিশ্বাস, সমরেশ পুরকায়স্ত, মৃদুল কান্তি সরকার, হারান সেন, সিদ্ধার্থ রায়, বিন্দু দাম, সুদীপ দেব, আশু চত্রী, অনন্ত চত্রী, ওম বৈদ্য, পিংকু দাস, রিংকু দাস, রৃত্তিক গুপ্তা, শান্ত বৈদ্য, প্রান্ত দত্ত, দিলীপ চত্রী, সুনীল বৈদ্য, বিধান রায়, বিষ্ণুপদ পুরকায়স্ত, গঙ্গা চত্রী, বিমান সেন, সানী রায়, সবিতা বৈদ্য, চম্পা চত্রী, মৌসুমী দত্ত, রেবা দস্তিদার, সঞ্চিতা বৈদ্য, লাভলী দাস, নিশা ধর, ঝুমা দত্ত, ডলি বৈদ্য, সুপ্রিতী নাথ, মৌসুমী তালুকদার, চম্পা দাশ, শংকরী দাশ, জয়া দত্ত, মিতা পুরকায়স্ত, মাতৃ ধাম।
বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে রথযাত্রার পুরো আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এটি হ্যামট্রামিকের বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠান, যা তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণে সহায়তা করে।
রথযাত্রা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র ও আনন্দদায়ক উৎসব। এটি জগন্নাথদেবের রথে করে গণ্ডিচা মন্দিরে যাত্রার আচার-অনুষ্ঠান, যা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। হ্যামট্রামিকের এই আয়োজন প্রবাসী বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে তাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরার একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করে।
অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং এতে বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সফল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
এই রথযাত্রা হ্যামট্রামিকের স্থানীয় জনগণের মধ্যে একতা ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেছে। সবাই আশা করছেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য করুন