ইসরাইল গাজা ভূখণ্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে বসবাসকারী মানুষদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরাইলের সেনারা হামাস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে স্থল ও বিমান হামলা চালাচ্ছে।
যদিও ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণকে পরবর্তী আক্রমণের এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক দফা সতর্কতা জারি করেছে, ইসরাইল জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় অনির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট লভ্যতার পরিস্থিতি মানুষের তথ্য প্রাপ্তিকে কঠিন করে তুলেছে।
জাতিসংঘ গাজার মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে। আনুমানিক ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অনেকে জনাকীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
সোমবার ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা উত্তর গাজার স্কুলের ভেতরে অবস্থিত জঙ্গি অপারেশন সাইটগুলো ধ্বংসসহ রাতারাতি হামাসের ২০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে। ইসরাইলের অভিযোগ, হামাস হাসপাতাল এবং অন্যান্য বেসামরিক এলাকায় অবস্থান নিয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের ইসরাইলি বিমান হামলার আগে সরিয়ে নেয়ার জন্য সতর্কতা উপেক্ষা করতে উৎসাহিত করেছে। তারা বলছে, হামাস বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইসরাইল তাদের তিনজন সেনার মৃত্যুর খবর দিয়েছে। তারা বলেছে, রবিবার উত্তর গাজা ভূখণ্ডে দুজন এবং মধ্য গাজায় অন্যজন নিহত হয়।
হামাস-পরিচালিত মন্ত্রণালয় বলছে, শুক্রবার সকালে এক সপ্তাহব্যাপী ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে যাবার পর থেকে অন্তত ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ফলে অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে পনেরো হাজার দুইশো জনের বেশিতে পৌঁছেছে এবং চল্লিশ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে। তারা বলছে, নিহতদের ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস ২৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজাতে ইসরাইলের অবরোধ ‘আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের স্পষ্ট লংঘন’।
যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে যাওয়ার পর নেতানিয়াহুর কার্যালয় ঘোষণা করেছে, এটি কাতারের দোহায় তাদের আলোচনাকারী দলকে ইসরাইলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অক্টোবরে হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরাইলে প্রবেশ করে আক্রমণ করার পর ইসরাইল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে তাদের সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরাইল বলেছে, হামাসের আক্রমণে সেখানে ১২০০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। ভয়েস অফ আমেরিকা
বাংলা সংবাদের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
মন্তব্য করুন