ছয়দিন ব্যাপী বর্ধিত অস্ত্রবিরতির পঞ্চম দিনে হামাস জঙ্গিরা আরও ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে । আশা করা হচ্ছে শিগগিরি আরও ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে ১০ জন ইসরাইলি এবং দু জন বিদেশি নাগরিক, গাজায় আটক এই ১২ জন জিম্মির মুক্তির পর তাদেরকে গাড়িতে করে ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে, বিনিময়ে ইসরাইল ১৫ জন নারী ও ১৫ জন তরুণসহ মোট ৩০ জন ফিলিস্তিনকে মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছে প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনারস ক্লাব নামের একটি আধা সরকারি সংগঠন।
অস্ত্র বিরতির মূল সমঝোতার প্রথম চারদিনে , হামাস সোমবার রাত পর্যন্ত ৫০ জন ইসরাইলি এবং ১৯ জন বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। বিদেশিদের মধ্যে বেশির ভাগ থাই খামার-কর্মী। এই অস্ত্রবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর আগে পর্যন্ত ইসরাইল ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২৪০ জন লোক যাদেরকে ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ধ্বংসাত্মক হামলার সময় আটক করে । ঐ হামলায় তারা ১২০০ লোককে হত্যা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
গাজা ভূখন্ডে হামাসের নিয়ন্ত্রণের পরিসমাপ্তি ঘটানোর লক্ষ্যে পাল্টা আক্রমণে ইসরাইল ১৫,০০০ মানুষকে হত্যা করেছে বলেহামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, আনুমানিক ১৮ লাখ মানুষ বা গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ গাজার মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ১১ লাখ মানুষ জাতিসংঘের জনাকীর্ণ আশ্রয়স্থলে আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার চীন বলেছে, তাদের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই বুধবার ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষের ওপর আলোকপাত করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
যুদ্ধবিরতি গাজায় অতি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার সরবরাহ বৃদ্ধির সুযোগ দিয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে,গাজায় আনুমানিক ১৮ লাখ মানুষ বা সেখানকার জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন,যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সোমবার ব্রাসেলসে নেটোর বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বুধবার রাতে ইসরাইল এবং পশ্চিম তীর সফরে যাবেন।
বাংলা সংবাদের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
মন্তব্য করুন