নেটোর প্রতি সমর্থনের প্রতিধ্বণি তুলে এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের পরিবর্তন মানে ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক জোটের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের অনিশ্চয়তা ইউরোপের এই আশংকার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপের তিন দেশ সফর সম্পন্ন করেছেন।
বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিন বলেন, “ আমি আপনাদের সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। আমার নেটোর সঙ্গে যুক্ত থাকবো, যুক্ত থাকবো শুরুতে, মাঝখানে এবং শেষেও । আমরা ট্রান্সঅ্যাটলান্টিকের অংশীদার”।
বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে উভয় দলের “পূর্ণাঙ্গ সমর্থন” ‘এর কথা পুনর্ব্যক্ত করেন , “এ কথা সত্বেও যে একটি দলের মধ্যে কিছু উগ্রবাদী লোকতো রয়েছেই”।
মনে হয় তিনি কোন কোন রিপাবলিকানের বিচ্ছিন্নতা থাকার কথা বলছিলেন যারা বাাইডেনের পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির অনুসারি। ট্রাম্প নেটোর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ২০১৭ সালে এই জোটকে এখনকার উপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেন।
বাইডেন বলেন, “ আমেরিকার জনগণ জানেন ম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবং নেটো গঠনের পর আমাদের নিরাপত্তা নির্ভর করছে ইউরোপীয় ও ট্রান্সঅ্যাটল্যান্টিক অংশীদারদের অভিন্নতার উপরে”।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক ঐক্য সম্পর্কে বাইডেনের এই নিশ্চয়তা, গতবার যখন একজন আমেরিকান নেতা ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বক্তব্য রেখেছিলেন তা থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভিন্ন।
লিথুয়েনিয়ার ভিলিনিয়াসে অনুষ্ঠিত দু দিন ব্যাপী নেটো শীর্ষ সম্মেলন থেকে এসে বাইডেন নিনিস্তোকে নিশ্চয়তা দেন যে নেটোর এই নবীন ও ৩১তম সদস্যের প্রতি এই জোটের প্রতিশ্রুতি “ লৌহ দৃঢ়”।
বাইডেন বলেন নেটো সদস্যরা একতাবদ্ধ এবং রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে একতাবদ্ধ ও প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, “ ইউক্রেনকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য নিরাপত্তার প্রতিশ্রতি দিতে আমরা দেশটির নেটো সদস্যপদ চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো না।তিনি একটি নতুন পরিকাঠামোর কথা উল্লেখ করেন যাতে এখন এবং যুদ্ধের পর কিয়েভের প্রয়োজন মেটানো যায়। সেই পরিকাঠামো বুধবার তুলে ধরে জি-সেভেন যার মধ্যে রেয়েছ জাপানও। জি-সেভেনের সদস্যদের মধ্যে জাপানই হচ্ছে একমাত্র দেশ যে নেটোর সদস্য নয়।
এই পরিকাঠামোতে রয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে এই যুদ্ধ পর্যন্ত ইউক্রেনের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান এবং জোটের মান অনুযায়ী কিয়েভের সংস্কার সাধন। সংস্কার সাধন আর সংঘাতের অবসান হচ্ছে ইউক্রেনের নেটোতে যোগ দেয়ার শর্ত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকি এই সব শর্ত মেনে নিয়েছেন।
বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কেওকঠোর বাস্তবতা তুলে ধরেন, বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট , “ এই যুদ্ধে ইতোমধ্যেই হেরে গেছেন”।
যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্য করুন