জুনের ১৩ তারিখে ৭৫০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য গ্রীসের ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে।
যারা বেঁচে ফিরেছেন, তারা অভিযোগ করেছেন, গ্রীসের কোস্ট গার্ড দল অনেক দেরিতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যে কারণে হয়তো প্রাণহানি বেশি হয়েছে।
গ্রীক কর্তৃপক্ষ এই দাবী প্রবলভাবে অস্বীকার করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহন করে আনা নৌযানডুবির সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাগুলোর অন্যতম এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৮২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নারী ও শিশুসহ আরও শত শত আরোহী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। আরোহীদের বেশিরভাগই ছিলেন মিশর, সিরিয়া ও পাকিস্তানের নাগরিক।
জাতিসংঘ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিচ ১৪ জুন সংবাদদাতাদের বলেন, “(জাতিসংঘের) মহাসচিব গ্রীসের উপকূলের কাছে জাহাজডুবির ঘটনায় অসংখ্য নারী, পুরুষ ও শিশু প্রাণ হারানোয় গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন।”
মানবাধিকার সংস্থারা উল্লেখ করছে, বেঁচে ফিরে আসা আরোহীদের বক্তব্যের সঙ্গে কোস্ট গার্ডের বক্তব্যের মিল নেই।
গ্রীস দাবি করছে, অভিবাসন প্রত্যাশীরা সাহায্য চায়নি এবং জাহাজ ডুবে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা বিপদে ছিলেন না। এ ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করেছে গ্রীস কর্তৃপক্ষ। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কন্দিলিয়া গগৌ জানান, এটা যথেষ্ট নয়।
“আমি মনে করি এ ঘটনার একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত হওয়া খুব জরুরি। আপনারা আকাশ থেকে নেওয়া ছবিতে দেখতে পাবেন, এই নৌযানটি সমুদ্রে চলাচলের উপযোগী নয়। এসব ক্ষেত্রে আপনাকে এগিয়ে আসতে হবেই। এটা আপনার দায়িত্ব। এবং এখানেই রয়েছে ব্যর্থতা। তারা দেরি করেছে”, বলে গগৌ।
গ্রীক পুলিশ ইতোমধ্যে ৯ মিশরীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে যারা ঐ ট্রলারে ছিল বলে ধারণা করা হয়। তারা অপরাধচক্রের অংশ হিসেবে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অভিবাসন নিয়ে আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্য করুন