টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রান্সের স্কোয়াডে নেই কিলিয়ান এমবাপ্পের নাম। উয়েফা নেশনস লিগে এ মাসে ইসরায়েল ও ইতালির বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স। ম্যাচ দুটির স্কোয়াডে দলের অধিনায়ক এমবাপ্পেকে রাখেননি কোচ দিদিয়ের দেশম। এর আগে অক্টোবরে বেলজিয়াম ও ইসরায়েল বিপক্ষে ম্যাচেও এমবাপ্পে দলে ছিলেন না।
ঠিক কী কারণে এমবাপ্পেকে রাখা হয়নি, কোচ সেটি স্পষ্ট করেননি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা চলছিল। লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগসহ সর্বশেষ তিন ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি এমবাপ্পে।
২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পেকে দলে না রাখার বিষয়ে দেশম আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শুধু এই পর্বের ম্যাচের জন্য।’ এমবাপ্পে ম্যাচ খেলতে আসতে চেয়েছিলেন বলেও জানান দেশম।
এ বছরের জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৬ গোল ও ১০ অ্যাসিস্ট করেছেন এমবাপ্পে। তবে সর্বশেষ এল ক্লাসিকো এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে এসি মিলানের বিপক্ষে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল তো পানইনি, ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৮ বার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছিলেন, যা গত ১৫ বছরের লা লিগায় কোনো খেলোয়াড়ের জন্য এক ম্যাচে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
ফ্রান্স দলে এমবাপ্পেকে না রাখার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে দেশম বলেন, ‘আলোচনায় আমরা হয়তো সব বিষয়ে একমত হই না। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে এই আলোচনাগুলো আমি করে থাকি। আমি অমন লোক নই যে খেলোয়াড় এসে বলবে আমিই সেরা এবং সবচেয়ে সুদর্শন আর সেটা মেনে নেব। আমি ওদের কথা শুনি। এসব আলোচনার মাধ্যমে সব সময়ই অনুপ্রাণিত হই এবং ব্যক্তিগত বা দলগতভাবে তাদের আগলে রাখি।’
আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত নিজেই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান ফ্রান্স কোচ। গত অক্টোবরে এমবাপ্পেকে ছাড়া ফ্রান্স দল ঘোষণার পর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, তিনি নিজেই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাননি। এ নিয়ে সমালোচনাও করেন কেউ কেউ। পরে কোচ দেশম জানান, এমবাপ্পেকে না রাখার সিদ্ধান্ত তিনিই নিয়েছিলেন।
উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে আগামী ১৪ নভেম্বর প্যারিসে ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স। তিন দিন পর মিলানের সান সিরোয় প্রতিপক্ষ ইতালি।
মন্তব্য করুন