যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক সংলাপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ারকে ছাপিয়ে, তাদের নিরাপত্তা সহযোগিতাকে বিস্তৃত করেছে। এক বিশ্লেষক, এই সহযোগিতাকে এ অঞ্চলে বেইজিং-এর ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় একটি “উল্লেখযোগ্য” অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেছেন।
এই তিন দেশ, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে প্রথমবারের মতো ইন্দো-প্যাসিফিক সংলাপে বসে। সেখানে দেশগুলো চীনের নাম উল্লেখ করে, দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির “বিপদজনক ও বাড়াবাড়ি আচরণ” নিয়ে আলোচনা করে।
গত ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর দেয়া এক বিবৃতিতে, “পেশীশক্তি অথবা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের কোনো একপাক্ষিক উদ্যোগের” বিরোধিতা করে তারা। আর, আবারো “তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার গুরুত্বের”ওপর জোর দেয়া হয় বিবৃতিতে।
এর আগে, গত বছরের আগস্টে, ক্যাম্প ডেভিডে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে তিন দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক সংলাপ আয়োজনে সম্মত হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা যোগ দেন। তারা, এই অঞ্চলে চীনের “মারমুখী আচরণের” প্রতি নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো অংশে সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, চীনের নেয়া ‘মেরিটাইম অ্যাকশন’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বেইজিংয়ের বিরোধের জন্ম দেয়।এই দেশগুলো, চীনের এই দাবি অস্বীকার করে আসছে। চীন স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের ওপরও সার্বভৌম অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছে।
সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, বেইজিং “অন্যদের বাদ দিয়ে ত্রিপাক্ষিক দল গঠন” এবং “তাইওয়ানের স্বাধীনতার প্রতি বিচ্ছিন্নতাবাদী পদক্ষেপের” বিরোধিতা করে। ভয়েস অফ আমেরিকা
বাংলা সংবাদের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
মন্তব্য করুন