ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া শনিবার রাতভর কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
এএফপি বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানায়, রাশিয়ার এই হামলায় ক্রুজ, ব্যালিসটিক, বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনসহ বেশ কয়েক ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার তার দৈনিক বক্তব্যে জানান, ১২ জানুয়ারি হচ্ছে এমন এক দিন, যেটি “ইতোমধ্যে আমাদের দেশের ইতিহাসের অংশ হয়েছে”, কারণ (এই দিনে) ইউক্রেন ব্রিটেনের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি সম্পন্ন করেছে, “যার জন্য আমরা দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে আসছি”।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শুক্রবার কিয়েভ সফর করে ইউক্রেনের জন্য প্রায় ৩২০ কোটি ডলারের নতুন সামরিক অর্থায়ন প্রকল্পটি উন্মোচন করেন। রাশিয়া দেশটিতে আগ্রাসন চালানোর পর এটাই ব্রিটেনের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় বার্ষিক অঙ্গীকার।
সুনাক বলেন, “(রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করলে সেখানে থেমে যাবেন না”। তিনি জানান, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমে গেলে তা পুতিন ও উত্তর কোরিয়া, ইরান ও অন্যান্য জায়গায় তার মিত্রদের আরও সাহসী করে তুলবে।
জেলেন্সকি জানান, তিনি শুক্রবার ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পুনর্জীবন সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধির পেনি প্রিৎজকারের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা ইউক্রেনের প্রতি পরবর্তী সহায়তা নিয়ে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এই সমর্থন শুধু আমাদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটা একইসঙ্গে অন্য সব রাষ্ট্রের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ, যাদের স্থিতিশীলতা আন্তর্জাতিক আইনের শক্তিমত্তার ওপর নির্ভরশীল”। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কিছু সদস্য ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের দ্বিমত পোষণ করছেন। ভয়েস অফ আমেরিকা
বাংলা সংবাদের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
মন্তব্য করুন