ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গাজা উপত্যকায় একটি স্থল অভিযান চালিয়েছে। সেখানে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের বাহিনী হামাসের জঙ্গিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের আগে গাজা সীমান্তের কাছে ৩ লাখ সেনা মোতায়েন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার এক লক্ষ্যের ব্যাপারে তার সমর্থন জানিয়েছেন যা এখন দূরবর্তী মনে হচ্ছে। লক্ষ্যটি হলো, দীর্ঘকাল ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পৃথক, স্বায়ত্তশাসিত ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা।
হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেছেন, “ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা যাবে না। ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিরা নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বসবাস করার সমান দাবি রাখে।”
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হামাস চারজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে একজন আমেরিকান নারী ও তার মেয়ে এবং দুজন প্রবীণ ইসরাইলি নারী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে সতর্ক করেছে, বাকিদের মুক্তি অনেক বেশি কঠিন হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরাইল গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী জনগণকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল। সেনাবাহিনী বলেছে, এই ঘোষণা বেসামরিক মানুষদের ক্ষতি কমানোর পদক্ষেপ।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিষয়ক জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা চলাচলে অক্ষম বা যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাদের জন্য ইসরাইলের অগ্রিম সতর্কতা কোনো মানে রাখে না।
হেস্টিংস বলেন, “যখন গাজাবাসীকে সরিয়ে নেয়ার রুটগুলোতে বোমাবর্ষণ করা হয়, যখন উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সহিংসতার মধ্যে পড়ে যায়, যখন বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাব হয়, এবং যখন ফিরে আসার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না, তখন মানুষের হাতে অসম্ভব বিকল্প ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।” তিনি আরও বলেন, “গাজার কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়।”
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস ২৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজাতে ইসরাইলের অবরোধ ‘আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের স্পষ্ট লংঘন’।
বাংলা সংবাদের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
মন্তব্য করুন