ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস সপ্তাহান্তে হামলা চালালে তার জবাবে ইসরাইল সামরিক অভিযান তীব্রতর করেছে। এদিকে, মানবিক সহায়তার আহ্বানের প্রতিধ্বনি করল হোয়াইট হাউজও। সেই সঙ্গে গাজা থেকে করিডর তৈরির কথাও বলা হয়েছে। এই অঞ্চলে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হাজির হয়েছেন। তিনি দু’দিকেই দ্রুত কুটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
ত্রাণ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানবিক সহায়তা একান্ত প্রয়োজন। বিশ্লেষকরা বলেন, ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কোনও সহজ সমাধান নেই।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন বিষয়ক পরিচালক জন কার্বি বলেন, “ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য বর্তমান মানবিক সহায়তার প্রয়োজন বিষয়ে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছি। ফিলিস্তিনিরা এখানেও নিগ্রহের শিকার।”
মানবিক করিডর তৈরি নিয়ে হোয়াইট হাউজের ভাবনা বিষয়ে ভিওএ-র প্রশ্নের উত্তরে কার্বি বলেন, “এটাই সঠিক কাজ।”
এই সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্ভাব্য মানবিক করিডর বিষয়ে তাঁরা মিশরের সঙ্গে কথা বলছেন। গাজা ভূখন্ড থেকে মাত্র দুটি সরকারি প্রস্থান-পথ রয়েছে। মূল পথটিতে ইসরাইল মঙ্গলবার বোমা ফেলেছে। এই পথ মিশরের মধ্যে দিয়ে গেছে। অন্য পথটি গেছে ইসরাইলে।
মানবিক গোষ্ঠীগুলি ও জাতিসংঘ আসন্ন সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছে, যেহেতু ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা ভূখন্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গাজা ভূখন্ড আয়তনে ওয়াশিংটন ডিসির দ্বিগুণ এবং এখানে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন। এমনটাই অনুমান সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক-এর।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সংক্রান্ত সমন্বয় দফতরের হামাদা আল বায়েরি বলেন, “গাজায় এক সেন্টিমিটারও নিরাপদ জায়গা নেই। বেসামরিক নাগরিক বা মানবিক গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য এ পর্যন্ত কোনও বিপদমুক্ত স্থান বা করিডর নেই।”
মন্তব্য করুন