এই সপ্তাহান্তে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো চার দিনের চীন সফর শুরু করবেন।
চীনে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করে বাইডেন প্রশাসন একটি নির্বাহী আদেশ জারি করার অল্প পরে , এই ঘোষণা আসলো।
বাণিজ্য দপ্তর মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, ২৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত রাইমন্ডো বেইজিং ও সাংহাই সফর করবেন। সে সময় তিনি চীনের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও আমেরিকার ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন।
বাণিজ্য দপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সফরের উদ্দেশ্য, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসার সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার যোগাযোগ আরো গভীর করা।
বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, চীনের অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় পড়তে পারে। চীন আর বিদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বন্ধুসুলভ নয়, এই ধারণাকে পাল্টাতে রাইমন্ডোর সফরকে ব্যবহার করার আশা করছে বেইজিং। তারা আরো বলেছেন, এই সফর থেকে কোনো সাফল্য নাও আসতে পারে।
.পিটারসন ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস-এর সিনিয়র ফেলো গ্যারি ক্লাইড হাফবার ভিওএ-কে বলেন, বেইজিং রাইমন্ডোর সফরকে স্বাগত জানাচ্ছে। এব কারণ হলো চীন গুরুত্ব দেয় এমন কয়েকটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বিষয়ে তার প্রভাব রয়েছে।
হাফবার আরো বলেন, “পণ্য বা পরিষেবার বাণিজ্য, বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক পরিষেবা, প্রযুক্তির যোগান এবং উভয় দিকে বিনিয়োগের আদান প্রদানের সাথে জড়িত সকল লেনদেনে রাইমন্ডো একজন বেশ বড় ব্যক্তিত্ব।”
“আমার অনুমান হলো, যে সব বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে তিনি কী ধরণের সীমাবদ্ধতা দেখেন; কী ধরনের পণ্য, প্রযুক্তি, বিনিয়োগের আদান প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের এখনো অনুমতি রয়েছে; চীনা কর্তৃপক্ষ সে সম্পর্কে তার কাছ থেকে একান্তভাবে জানতে আগ্রহী হবেন।”
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রক মঙ্গলবার বলেছে, এই পদক্ষেপটি দুই দেশের কোম্পানির মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য আবার শুরু করার জন্য উপকারী হবে। আর এই পদক্ষেপ উভয় পক্ষের অভিন্ন স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এবং প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি এ বছর চীন সফর করেছেন। এই বৈঠকগুলো, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় এপিইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে এবং এই শরৎকালে বাইডেনের সাথে দেখা করার বিষয়ে একটা পথ তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ মানুষ ভূত দেখে কেন?
মন্তব্য করুন