মঙ্গলবার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন পাঁচ বছর পর ইউনেস্কোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তনের কথা নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি চীনকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং প্রযুক্তি শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে দিয়েছে- এমন উদ্বেগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কোতে প্রত্যাবর্তন করে।
২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কারণ জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্থা ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ সদস্যপদ দিয়েছিল। ফিলিস্তিন জাতিসংঘ-স্বীকৃত রাষ্ট্র নয়। এর ফলে ওবামা প্রশাসন ইউনেস্কোতে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেন যা ছিল সংস্থাটির বাজেটের প্রায় এক পঞ্চমাংশ।
ইউনেস্কো বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ১৫৭টি সম্পদকে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনোনীত করেছে, যার মধ্যে প্রাচীন শহর বেথলেহেম রয়েছে। ধরতে গেলে এটি ইসরাইলে অবস্থিত হলেও ইউনেস্কো এটিকে ফিলিস্তিনে অবস্থিত বলে লিপিবদ্ধ করেছে।
ইউনেস্কোর সবচেয়ে বিখ্যাত টোটেমগুলো হলো এর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানগুলো, যার মধ্যে এমন স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে যা মানব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।
এই বছর ইউনেস্কো তার পছন্দের তালিকায় আরেকটি এন্ট্রি যুক্ত করেছেঃ ইউক্রেনীয় বন্দর শহর ওডেসার ঐতিহাসিক কেন্দ্র। ইউক্রেনের কৃষি রপ্তানির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর।
এই মাসে শহরটিতে রাশিয়া বিমান হামলা চালায়, এতে উঁচু ক্যাথেড্রালের ছাদের মধ্য দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় এবং বেদিটি ভেঙে যায়।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে ইউনেস্কো ইউক্রেনে তার মনোনীত “সাংস্কৃতিক স্থানের” ২৭০টি ক্ষতির সত্যতা যাচাই করেছে।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ফিরে আসায় এই সমস্ত সাংষ্কৃতিক ভার বহন করার ভারী দায়িত্ব এখন হালকা হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্য করুন