পৃথিবীর প্রতিটা দেশে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে। কেউ কৃষি কেউবা প্রযুক্তিতে। কোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি এই খাত। যেই দেশের উৎপাদন খাত যত সমৃদ্ধ সেই দেশের অর্থনীতিও তত শক্তিশালী। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সেসব দেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে অবস্থান জানান দিতে থাকে।
চলুন উৎপাদনে এগিয়ে থাকা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
৫) ভারত
২০২১ সালে ভারতের মোট উৎপাদন মূল্য ছিল ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার। ভারত সম্প্রতি চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়েছে। আয়বৈষম্য অনিয়ন্ত্রিত হলেও দেশটির অর্থনীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম উৎপাদন খাত। স্বল্প মজুরি ও শিথিল শ্রম আইনের সুযোগ নিয়ে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি ভারতে কারখানা স্থাপন করেছে। ভারত সরকারও দেশে কারখানা স্থাপনের জন্য বড় কোম্পানিগুলোকে প্রণোদনা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে, যা দেশটির উৎপাদন খাতকে সমৃদ্ধ করেছে।
৪) দক্ষিণ কোরিয়া
২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার মোট উৎপাদন মূল্য ছিল ৪৬১ বিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ কোরিয়া গত কয়েক দশকে জিডিপিতে বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোর একটি।
৩) জার্মানি
২০২১ সালে জার্মানির মোট উৎপাদন মূল্য দাঁড়ায় ৮০৩ বিলিয়ন ইউএস ডলারে। জার্মানির প্রকৌশল ও উৎপাদন খাত গুণমান এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য বিখ্যাত। তা মেশিন, অটোমোবাইল বা যেকোনো বৈদ্যুতিক পণ্যই হোক না কেন। দেশটি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ-বেনজ ও ভক্সওয়াগনের মতো গাড়ি তৈরির কোম্পানির ঘাঁটি। এসব কোম্পানি থেকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় করে থাকে জার্মানি।
২) যুক্তরাষ্ট্র
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট উৎপাদন মূল্য ছিল ২ হাজার ৪৯৭ ডলার। বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় ৪৬ শতাংশই করে থাকে দুই দেশ। এর মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্র। গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট পরামর্শ সংস্থা ম্যাকেন্সির মতে, বিশ্বব্যাপী ‘মেইড ইন আমেরিকা’ যুগে ফিরে যাওয়া, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির ফলে দেশটির জিডিপি ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাত বাকি বিশ্বের চেয়ে এগিয়ে গেছে।
১) চীন
২০২১ সালে চীনের মোট উৎপাদন মূল্য ছিল ৪ হাজার ৮৬৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা ধারেকাছে বিশ্বের কোনো দেশ নেই। ফলে সহজেই বিশ্বের শীর্ষ ২০টি উৎপাদনকারী দেশের তালিকার শীর্ষে এখন চীন। দেশটি একাই বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৩০ শতাংশ উৎপাদন করে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং কানাডার অসংখ্য কোম্পানি চীনে পণ্য উৎপাদন ও নিজেদের দেশে বিপণন করে থাকে।
দেশটির জিরো-কোভিড নীতি উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। যা দেশটির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে বড় বাধা।
মন্তব্য করুন