ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কুলিং টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অপরকে দোষারোপ করছে। সোমবার (১২ আগস্ট) এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর বিবিসি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে দোষারোপ করে বলেন, পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে প্রথমে গুলি ছুড়েছে রুশ বাহিনী। পারমাণবিক কেন্দ্রটির দখল প্রায় দুই বছর ধরেই রুশ কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে। অন্যদিকে, জাপোরিঝিয়ায় ক্রেমলিনের নিযুক্ত গভর্নর ইয়েভগেনি বালিৎস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর শেলের কারণে আগুন লেগেছে পারমাণবিক কেন্দ্রটির কুলিং টাওয়ারে। সে সঙ্গে তিনি দাবি করেন, পারমাণবিক কেন্দ্রটির চারদিকে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়ায়নি।
জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) জানায়, আগুন লাগার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে তেজষ্ক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো শনাক্ত হয়নি। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে গাঢ় ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে বলে দেখা গেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর রুশ ভূখণ্ডের প্রায় ৩০ কিলোমিটার গভীরে অনুপ্রবেশের খবর পাওয়ার মধ্যেই ঘটলো জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনের এই অভিযানকে সবচেয়ে তাদের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, রুশ দখলদাররা এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। তারা ইউক্রেনের ওপর এর দায় চাপিয়ে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে। এ ঘটনার জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক আছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে মস্কোর নিয়োজিত কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগোভ বলেন, বার্তা পাঠানোর অ্যাপ টেলিগ্রামে আজ সোমবার দেয়া একটি পোস্টে দেখা গেছে, কুলিং টাওয়ারে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক পোস্টে আইএইএ জানায়, সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়েক দফা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়, একটি কুলিং টাওয়ারে সম্ভবত ড্রোন হামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন