আনন্দঘন ও উৎসবমুখর আয়োজনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক বনভোজন উদযাপন করলো দক্ষিণ সুরমাবাসী। প্রবাস জীবন ব্যাস্ত জীবন, এই কর্মব্যস্ত জীবনের ফাকে শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী আর বয়োবৃদ্ধসহ সর্বস্তরের আমেরিকান-বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে এ যেন ছিল এক আবেগঘন আনন্দ আয়োজন।
রোববার মিশিগানের ওয়ারেন সিটির হলমিচ পার্কে ঐতিহ্যবাহি সিলেট দক্ষিণ সুরমা এসোসিয়েশন অব মিশিগানের আয়োজনে এ বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল জব্বার বশিরের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমদ রাহিনের পরিচালনায় বনভোজন অনুষ্ঠান শুরুতে শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন সংগঠনের সদস্যবৃন্দ সহ অতিথিরা। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সেখানে এসোসিয়েশনের সদস্য ও তাদের পরিবারসহ বিভিন্ন ব্যাবসায়ী, রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।
বনভোজনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা ডু ডু খেলা, দড়িটান, শট বারে ফুটবল, মহিলাদের মারবেল চামচ, হাড়ি ভাংগা, বল বদলসহ আয়োজনে ছিলো বয়স ভিত্তিক নানাবিধ দেশিও খেলাধুলা। যেখানে নারী এবং পুরুষেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করে।
খেলাধুলা শেষে সংগঠনের সদস্যবৃন্দ সহ অতিথিরা খেলার বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন। এর আগে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন এসোসিয়েশনের সদস্য ও তাদের পরিবারসহ অতিথি বৃন্দ। বনভোজনে আনন্দ দিতে রখা হয় পান সুপারি, সেখানে আনন্দ করে পান মুখে দিতে দেখা যায় আগতদের।
এছাড়া বনভোজনের র্যাফেল ড্রতে ১ম পুরষ্কার হিসেবে ছিলো একটি জীপ গাড়ি। ২য় পুরষ্কার ছিল একটি কার। ৩য় পুরুষ্কার ছিল ৬৫ ইঞ্ছি টিভি। এছাড়া আরো অনেক পুরস্কার ছিলো আয়োজকদের পক্ষথেকে। র্যাফল ড্র এর প্রথম পুরুষ্কার জীপ গাড়ি বিজয়ী রাহী ও ২য় পুরুষ্কার কার বিজয়ী ফাতেহা চৌধুরীর হাতে গাড়ির চাবি হস্তান্তর এর মাধ্যমে বনভোজনের সমাপ্তি হয়।
১ম পুরষ্কার বিজয়ী রাহী বলেন, আমি লন্ডন থেকে এসে বনভোজনে অংশগ্রহণ করেছি। আমি ১ম পুরষ্কার বিজয়ী হওয়ায় খুবই অনন্দিত। আমি আমার পিতা আবুল লেইছের নামে এই টিকেট কিনে পুরষ্কার পেয়েছি। তাই গাড়ীটি আমার আব্বাকে গিফট দিয়ে দিব। এসময় তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
২য় পুরষ্কার বিজয়ী ফাতেহা চৌধুরী বলেন, আমি পুরষ্কার জিতে খুবই আনন্দিত। সিলেট দক্ষিণ সুরমা এসোসিয়েশন অব মিশিগানের মনমুগ্ধকর এ আয়োজন আমাকে অভিভূত করেছে। সবমিলিয়ে এক অসাধারণ অনুষ্ঠান হয়েছে।
সভপতির বক্তব্যে আব্দুল জব্বার বশির বলেন, দক্ষিণ সুরমাবাসীকে নিয়ে একটি গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত হলো। মূলত উপজেলার সকলকে ঐক্যবদ্ধ করাই মূল লক্ষ্য। এইরকম অনুষ্ঠান প্রতিবছর নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে। এসময় তিনি আগত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
মিশিগান নিয়ে আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্য করুন