মিশিগানে রিয়েল এস্টেট বিষয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বাংলা সংবাদ পত্রিকা প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে। নিয়মিত ফিচার হিসেবে এ সংখ্যায় আরটুএম রিয়েলিটির তথ্য সম্পর্কে তুলে ধরা হলো। আশা রাখি, এইসকল তথ্যের মাধ্যমে লোকজন উপকৃত হবেন।

মিশিগানের স্টার্লিং হাইট্স এবং নিকটবর্তী এলাকায় আরটুএম রিয়েলিটির যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। এ প্রতিষ্ঠানের ফাউন্ডার ও ব্রোকার হিসেবে কর্মরত আছেন বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্রোকার জুবেল আহমদ। বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ে তিনি একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। রিয়েল এস্টেট সেবা প্রদানে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর সঙ্গে আরটুএম রিয়েলিটি নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়।

জুবেল আহমদ জানান, আরটুএম রিয়েলিটিতে বর্তমানে ১৮ জন রিয়েলেটর কাজ করছেন। তারা প্রত্যেকেই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় অত্যন্ত দক্ষ, যোগ্য এবং বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় তথা ক্লায়েন্টদেরকে সেবা প্রদানে তাঁরা যথেষ্ট আন্তরিক এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিষ্ঠান মিশিগানের ওয়ারেন, স্টার্লিং হাইট্স এবং নিকটবর্তী এলাকায় বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আরটুএম রিয়েলিটি ৫০০ এর বেশি বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় করার গৌরব অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলাপকালে রিয়েলেটর জুবেল আহমদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে কমিউনিটির সেবা প্রদান করা। ব্যক্তিগতভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা আমার খুবই পছন্দের। বর্তমান সময়ে বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হন। আমি মনে করি, এ দৃষ্টিকোণ থেকে দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতা নিয়ে কমিউনিটিকে বিশাল একটি সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব। এছাড়া আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সদস্যদেরকে যথাসাধ্য প্রশিক্ষণ দিয়ে মানোন্নয়ন করা, যাতে তারা কমিউনিটিকে আরো বেশি সার্ভিস দিতে পারেন।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে জুবেল আহমদ বলেন, প্রথমত, রিয়েল এস্টেট একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। একজন মানুষ সারাজীবন কষ্ট করে টাকা জমিয়ে থাকেন। লক্ষ্য একটি সুন্দর বাড়ি কিনে স্থায়ীভাবে থাকা। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেক বায়ার ঠিকমতো বাড়ি দেখেনও না। আমরা তাদেরকে ভিডিওর মাধ্যমে বাড়ি দেখাই। তারা আমাদেরকে বিশ্বাস করে কাজ দেন। এজন্য সার্বিক তত্ত্বাবধান নিয়ে কাজগুলো সম্পাদন করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রজ্ঞার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে প্রসেসিং এবং ইন্সপেকশনের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। আর দক্ষ মানুষ নিয়োগেও যত্নবান হতে হয়। যাতে সেলার একটি ভালো দামে বাড়ি বিক্রি করতে পারে এবং বায়াররাও তাদের কাঙ্ক্ষিত বাসা পেয়ে থাকে।

দ্বিতীয়ত, রিয়েল এস্টেট কমিশন ভিত্তিক জব। এখানে আসলে কাজের ক্ষেত্রে ঘণ্টা শুরু হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ক্লাইন্টদের সাথে সম্পর্ক গভীর হয়না। অনেক সময় এক বছর কাজ করে ক্লাইন্ট অন্য কোথাও চলে যায়। এক্ষেত্রে আমরা টাকা পাইনা। ক্লাইন্টদের সাথে সম্পর্ক গভীর না হওয়াতে আমাদের ব্যবসার উপরে এর প্রভাব পড়ে। সব সমস্যার ভিড়েও সম্ভাবনা এটাই যে, আমাদের বায়াররা বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেই আমাদের কাজ দিয়ে থাকেন। এটিকে পুঁজি করেই আমরা কমিউনিটিকে সেবা প্রদানে আরো উজ্জীবিত হই।

কমিউনিটির প্রতি প্রত্যাশা প্রসঙ্গে জুবেল আহমদ বলেন, আমরা চাই আপনারা আমাদেরকে বিশ্বাস করুন, আস্থা রাখুন। আমাদের সাথে কাজ করুন। আমার পর্যবেক্ষণ থেকে বলতে চাই, আরটুএম রিয়েলিটির কোনো এজেন্ট আপনাদেরকে প্রতারিত করবে না। আমাদের কাছেই আপনার প্রত্যাশিত স্বপ্ন পূরণ হবে। এসময় তার সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপারেও কথা হয়। তিনি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা হচ্ছে সাফল্যময় ব্যবসা। এ ব্যবসায় টাকা ইনভেস্ট করলে টাকার মূল্য কমে না। ব্যাংকে টাকা রাখলে মূল্যস্ফীতির কারণে এর মূল্য কমে যায়। কিন্তু দিনে দিনে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং এর চাহিদাও বাড়ছে। এতে করে যারা ইনভেস্ট করবেন, তাদেরকে আরটুএম রিয়েলিটি প্রপার বেনিফিট দিতে সক্ষম হবে। এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ প্রফিট আর্ন করা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আরটুএম রিয়েলিটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জুবেল আহমদ জানান, আমাদের কমিউনিটি আরো বড় হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের এজেন্টদেরকে আরো প্রশিক্ষণ দেওয়া। দক্ষ ও যোগ্য করে তোলা যাতে কমিউনিটিকে যথাযথ সেবা প্রদান করতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৫০০ এর বেশি এজেন্ট তৈরি করা, যারা বৃহত্তর কমিউনিটির কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করবেন।

জুবেল আহমদ আরটুএম রিয়েলিটির ফাউন্ডার এবং ব্রোকার রিয়েলেটর। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় তিনি বিশেষজ্ঞ। তিনি আরটুএম রিয়েলিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় এবং ক্লায়েন্ট সার্ভিসের ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রাখছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরটুএম রিয়েলিটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় দৃষ্টান্তমূলক অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।

শাকিল চৌধুরী ডায়নামিক রিয়েল এস্টেট ব্যক্তিত্ব হিসেবে মিশিগান রাজ্য থেকে সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট লাইসেন্স অর্জন করেছেন। ক্লায়েন্টদেরকে সর্বোচ্চ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এ রিয়েলেটর প্রতিযোগিতামূলক নিউইয়র্ক রিয়েল এস্টেট মার্কেটে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অঙ্গনে তাঁর তিন বছরের মূল্যবান অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ফাত্তাহ চৌধুরী ২০২১ সালে রিয়েল এস্টেট যাত্রা শুরু করেন। এ ব্যবসায় তাঁর তিন বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। বাড়ি কেনা, বিক্রয় এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। স্থানীয় রিয়েল এস্টেট মার্কেট সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অভিজ্ঞ ব্যক্তি।

জুবারুল ইসলাম একজন রিয়েল এস্টেট উপদেষ্টা হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। এ ব্যবসা সম্পর্কে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। তিনি দীর্ঘদিন থেকে এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাঁর কর্মজীবনে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সেবাকে প্রত্যাশিত মাত্রায় ছড়িয়ে দিয়েছেন।

ট্রেসি লাবু আরটুএম রিয়েলিটিতে রিয়েলেটর এবং অফিস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ২০২১ সাল থেকে রিয়েল এস্টেট জার্নি শুরু করেন। সততা, দক্ষতার ভিত্তিতে তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় অঙ্গীকারপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নুরুল হাসান পারভেজ একজন নিবেদিতপ্রাণ এবং পরিশ্রমী রিয়েলেটর। তিনি সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতক এবং সিলেট ল কলেজ থেকে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। তিনি মিশিগান নোটারি পাবলিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি মেট্রো ডেট্রয়েট এলাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার প্রসারে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

সাফিন হোসেন একজন তরুণ রিয়েলেটর। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় তিনি অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। স্থানীয় রিয়েল এস্টেট মার্কেট সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান রয়েছে।

নুর চৌধুরী একজন বুদ্ধিদীপ্ত রিয়েলেটর এবং প্রকৌশলী। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক অর্জন করেন। সিস্টেম ডিজাইনিং এবং উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে সেবা দিতে তিনি অগ্রগণ্য। তাঁর রিয়েল এস্টেট জার্নি ২০১৫ সালে শুরু হয়।

আতকিয়া খানম মিশিগানে বসবাসরত একজন রিয়েলেটের। ফিন্যান্স এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে তাঁর প্রচুর দক্ষতা রয়েছে। ক্লায়েন্টদেরকে তাদের স্বপ্নের বাড়ি কিংবা বিনিয়োগে সার্থক করে তুলতে অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে।

ফারুক মিয়া সাবেক লোন অফিসার এবং তরুণ রিয়েলেটর। একজন দক্ষ রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ক্লায়েন্টদেরকে যথাসাধ্য সেবা দিতে তিনি বদ্ধপরিকর। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সম্পর্কে তাঁর রয়েছে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা।

ফাজলা নোমান একজন দক্ষ রিয়েলেটর। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সম্পর্কে তাঁর দক্ষতা, জ্ঞান এবং আন্তরিকতা রয়েছে। তিনি ২০২১ সাল থেকে আরটুএম রিয়েলিটি’র সাথে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন।

নাজির আহমদ একজন দক্ষ এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রিয়েলেটর। রিয়েল এস্টেট মার্কেটিং সম্পর্কে তাঁর রয়েছে যথেষ্ট প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা। তিনি ২০২১ সাল থেকে আরটুএম রিয়েলিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। তাঁর পেশাদারিত্ব, সততা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতা ক্রয়-বিক্রয়ে সহায়তা করে।

আশরাফ করিম একজন পেশাদার রিয়েলেটর। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় তাঁর যাত্রা আরটুএম রিয়েলিটির সঙ্গে। ক্রয়-বিক্রয়ের পাশাপাশি বিজনেস কনসালটেন্সি বিষয়ে তিনি অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের জন্য স্মার্ট ডিল করতে সক্ষম হয়েছেন।

জুবায়ের হক একজন তরুণ রিয়েলেটর। ক্লায়েন্টদেরকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি নিবেদিতপ্রাণ। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিশ্রুতি প্রশংসার দাবিদার। স্থানীয় রিয়েল এস্টেট মার্কেট সম্পর্কে তিনি বেশ অভিজ্ঞ।

কৃষ তাদেপাল্লি একজন শীর্ষস্থানীয় পেশাদার রিয়েলেটর। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সম্পর্কে তাঁর গভীর জ্ঞান এবং অতুলনীয় যোগাযোগ দক্ষতা রয়েছেন। এ ব্যবসার প্রতিটি ধাপে উদ্ভূত সমস্যা-সম্ভাবনা এবং সমাধান সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তিনি ২০২১ সাল থেকে আরটুএম রিয়েলিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।