বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উত্তাল সময়ে ধরাধামে আসা। রঙিন শৈশব, নিত্যনতুন চিন্তার কৈশোর, স্বপ্নবোনা তারুণ্য কিংবা যৌবনের আনন্দময় সময়ের প্রতিটি ধাপে ছালেহ আহমদ সেলিম একটাই সংকল্পে অটুট মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। জন্ম ১৯৬৯ সালের ২ এপ্রিল। বাংলাদেশ নামক দেশ গড়ার স্বপ্নে তখন বিভোর গোটা বাঙালি জাতি। পৃথিবীতে পা ফেলেই ছালেহ আহমদ সেলিম দেখলেন ন্যায়ের লড়াইয়ে লড়ছে চারপাশ, তাই শৈশবে দানা বেঁধেছে অন্যায়ের প্রতিবাদে মূখর থাকার মন্ত্র। শৈশব হতে আজও তিনি ন্যায়ের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে জনগণের মন জয় করে লড়ছেন নিত্যদিন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের (শাহজালাল উপশহর) দ্বিতীয় বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। পিতা আজিজুর রহমান ও মাতা ছায়রা বেগম পৃথিবী ছেড়েছেন কিন্তু ছালেহ আহমদ সেলিমের অন্তরে বুনে গেছেন শুদ্ধ মনুষ্যত্বের বীজ। বিয়ানীবাজারের দেউলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন সেলিম। নেতৃত্বের গুণাবলীতে নির্বাচিত হন সভাপতি পদে। সময়ের সঙ্গে দীপ্তপায়ে হেঁটে একের পর এক সাফল্যের পথ মাড়িয়ে আজ তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ পর্যন্ত আসতে পথ খুব মসৃণ ছিলো এমন নয় বরং জীবনে সকল প্রকার ঝুঁকি মোকাবেলার মধ্যদিয়ে এখনও বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। পেশায় একজন সফল আইনজীবী। সিলেট ল‘ কলেজে পড়াকালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। সেইসাথে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রাবস্থায় সিলেট শহরে নিজ এলাকার শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে গড়ে তোলেন কুশিয়ারা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ।
সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। মদন মোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক বার্ষিকী সম্পাদক ছালেহ আহমদ সেলিম সিলেটের রেনেসাঁ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতির পদে আসীন রয়েছেন। আত্মস্বার্থের উর্ধ্বে উঠে দেশ-জাতি, মানুষের কল্যাণেই নিবেদিত থাকতে চান তিনি। জনগণের স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে যেতে সব ধরনের ভয়-ভীতি, লোভ-লালসাকে উপেক্ষা করে চলছেন। রাজনীতির সঙ্গে ‘নীতি’ কথাটা যুক্ত আছে। নীতি হলো আদর্শ নিয়ম-কানুন। তাই পড়েছেন আইনবিদ্যা এবং জড়িয়ে আছেন দেশ ও মানুষের সেবা করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা রাজনীতির সঙ্গে। সামাজিক কাজকর্মে তিনি সদা তৎপর। সিলেটের শাহজালাল উপশহর উচ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং খ্যাতনামা সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য তিনি। বর্তমান রাজনীতিতে একটু উপরের দিকে গেলেই যেখানে অনেকেই তরুণদের এড়িয়ে চলেন সেখানে বেশ ব্যতিক্রম ছালেহ আহমদ সেলিম।
একজন জনবান্ধব নেতা হিসেবে যেমন তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তেমনি তিনি তারুণ্য অন্তঃপ্রাণ। তরুণ-যুব সমাজ যাতে বিপথগামী না হয় তারই লক্ষ্যে শাহজালাল উপশহর স্পোর্টিং ক্লাব এবং শাহজালাল উপশহর যুব কল্যাণ সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছেন। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন জনবান্ধব নেতা হিসেবে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছেন আগামীর পথপানে। সিলেটের রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছালেহ আহমদ সেলিম ছাত্ররাজনীতি থেকে অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল। সময়ের এই সাহসী সন্তান তারুণ্যের তরে সর্বদা নিবেদিত প্রাণ। তারুণ্যের অবক্ষয় রুখতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি।
খেলাধুলা-সাহিত্য চর্চায় উৎসাহ উদ্দীপনা যুগিয়ে চলছেন তরুণ-যুবকদের মধ্যে। পরিবেশ সচেতনতায় তাঁর নেয়া পদক্ষেপ সবার নজর কেড়েছে। বিশেষ করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় তিনি সড়কের পাশে বৃক্ষরোপণের মধ্যদিয়ে এক সবুজ বিপ্লবের সূচনা ঘটিয়েছেন। তরুণ-যুবকদের উদ্বুদ্ধ করছেন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে। সবুজ নগরী গড়তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট জায়গায় কড়া নাড়ছেন নিত্যদিন। কেবল এখানেই শেষ নয় বরং আইন সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতায় অসহায় মানুষগুলো বিপদে পড়ে, সেই বিপদ উদ্ধারে তিনি অসহায় মানুষগুলোর পাশে থেকে আইনি সহায়তা প্রদান করছেন প্রতিনিয়ত। অসহায় মানুষগুলোর মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটিয়ে তোলার মধ্যে নিজের জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান তিনি। মানুষের কল্যাণে নিজেকে সদা নিয়োজিত রাখতে চান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রিয় কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিম।
মন্তব্য করুন