ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। একাধিক প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বারবার হয়েছেন সংবাদের শিরোনাম।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন এই নায়িকা।
এদিকে পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কারণে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গুলশানে বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনকে চাকরিচ্যুত করার খবরও এসেছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে অন্যায় হয়ে বলে মনে করেন পরীমণি। পাশাপাশি সাকলায়েন ব্যক্তিগত আক্রোশের মধ্যে পড়েছে বলে জানান এই নায়িকা।
সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, এই সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে তো কেউ এর আগে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তার আগেই তো এত অপবাদ, এত কিছু…। যেখানে সম্পর্কটা ডিফাইন করার আগে এত অপবাদ নিয়ে ফেলছি, সেখানে এই সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে কথা বলার জায়গাও তো জনগণ রাখেনি। আমার মনে হয় না এটার আর কোনো দরকার আছে, যেটা নিয়ে এগোনো যাবে। যেমন আছে না, কোনো একটা প্যাঁচ লাগছে, প্যাঁচটা খুলি। এখানে প্যাঁচ লাগারও কিছু নেই, খোলারও কিছু নেই—তাই শুধু শুধু কেন কথা বলব। আমার শুধু মনে হয়, সাকলায়েন ব্যক্তিগত আক্রোশের মধ্যে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি জানি না। তবে অবশ্যই ব্যক্তিগত আক্রোশ…কিন্তু এমনটা নয়, প্রেম-ভালোবাসা ও সম্পর্কের কারণে হয়েছে, তা আমি বিশ্বাস করি না। সাধারণত যে ট্যালেন্ট, সফল হয়—তার পেছনে অনেকেই লেগে থাকে। এটা নতুন কিছু না। নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ, ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে।
পরীমণি বলেন, যদি আমার সঙ্গে কোনো সম্পর্কের কারণে এমনটা হয়েছে বলা হয়, তা তো নিঃসন্দেহে অন্যায়। কোনো সম্পর্কের জন্য এটা হতেই পারে না। তবে আমাদের সম্পর্কটা কেমন, কতটুকু আগাইছে, কী আগাইছে, কোথায় থেমেছে এই সম্পর্ক—কিছুই বলতে পারব না। কিছু বলার আগে এত বেশি দোষ আসলে ঘাড়ে নিয়ে ফেলছি, তাই এখন বলার ইচ্ছাও নেই।
মন্তব্য করুন