জুয়া খেলে নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের সম্ভাবনাময় পেসার ব্রাইডন কার্স। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৩ টি বাজি ধরার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমন তথ্য ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। অভিযোগ স্বীকার করেছেন ব্রাইডন। তাঁকে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ মূলত ১৬ মাস। এরমধ্যে ১৩ মাস স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। শাস্তির মেয়াদ শুরু হয়েছে গত ২৮ মে থেকে। শেষ হবে আগামী ২৮ আগস্ট।
এই সময় কোনো ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেট খেলতে পারবেন না ব্রাইডেন।
জুয়ায় জড়িত থাকলেও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে ব্রাইডনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি ইসিবির দায়িত্বরত নতুন স্বাধীন বিভাগ ‘ক্রিকেট রেগুলেটর’। বাজি ধরার ম্যাচগুলোতে একাদশে ছিলেন না এই পেসার। ব্রাইডন বাজিগুলো ধরেছেন ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে।
ব্রাইডেন গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাজিগুলো কয়েক বছর আগে ধরলেও অজুহাত হিসেবে এটিকে দাঁড় করাতে চাই না। আমি আমার কার্যকলাপের সব দায় (মাথা পেতে) নিচ্ছি। আমি ইসিবি, ডারহাম ও প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই কঠিন সময়ে আমাকে সমর্থন দেওয়ায়। আপনারা আমাকে যে সমর্থন দিচ্ছেন, তা মাঠের খেলায় যেন শোধ করতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে আগামী ১২ সপ্তাহ আমি কঠোর পরিশ্রম করব।’
ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ব্রাইডেন।
ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাঁহাতি পেসার রিস টপলি চোটে পড়লে বদলি হিসেবে বিশ্বকাপে গিয়েছিলেন ব্রাইডেন। গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও যুক্ত করা হয়েছিল ২৮ বছর বয়সী এই পেসারকে। দুই বছরের চুক্তিতে অবশ্য নিষেধাজ্ঞার ঘটনা প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন