চলে গেলেন কবি ফজলুল হক

কবি ফজলুল হক বাংলাদেশ সময় ২৬ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪ টায় সিলেট নগরীর শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যু খবর ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে দেশ–বিদেশে বসবাসরত শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাত সোয়া ৯ টায় তাঁর লাশ সিলেট হতে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সেখানে বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজন তাঁর লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বিয়ানীবাজারের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব, আশির দশকের শক্তিমান কবি ফজলুল হক ১৯৬১ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজার পৌরসভার কসবা নয়াটিল্লা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং সিলেট বেতারের গীতিকার ছিলেন। বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘পৃথক দংশন’, ‘কবির জন্মদিন’, ‘শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে নির্বাসনের দিনে’। সম্পাদনা গ্রন্থ: ‘তপোধীর ভট্টাচার্য : জীবন ও কর্ম’। বাংলাদেশ ও ভারত থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা এবং সাহিত্য সংকলন ও সাময়িকীতে নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
কবি ফজলুল হকের জানাজা ২৭ জুলাই দুপুর ২ ঘটিকায় কবির স্মৃতি বিজড়িত পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।