তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত। ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এর অবস্থান।
চীনে সিনচিয়াংয়ের পর তিব্বত দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। এর উত্তর দিকে সিনচিয়াং, উত্তর-পূর্ব দিকে ছিংহাই, পূর্ব দিকে সি ছুয়ান, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইয়ুন নান প্রদেশ।
তিব্বত দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে মিয়ানমার, ভুটান, নেপাল ও ভারতের ভূমিসংলগ্ন। সীমান্তরেখার মোট দৈর্ঘ্য ৪০০০ কিলোমিটার।
তিব্বতে প্রাচীন কাল থেকে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত: বানরের মানুষে রূপান্তরিত হওয়া; কিনাবালু পর্বতের কিংবদন্তি, জেড লেক; ইত্যাদি।
এখানে হাজার বছরের অনেক বিস্ময়কর ঐতিহাসিক ঘটনাও ঘটেছে; যেমন, ‘সিয়াং সিউং’, ‘কু কে’-এর পুরানো রাজবংশের ঘটনা; ‘ওয়েন ছেং’ রাজকুমারী ও ‘চিনছেং’ রাজকুমারীর তিব্বতে এসে বিয়ে করার ঘটনা; ‘থাং’ রাজবংশ আমলের ‘থুপুও’ সংখ্যালঘু জাতির জনৈক ভাইয়ের বংশধরদের সাথে তার বোনের বংশধরদের দুই শতাধিক বছরের সুসম্পর্ক বজায় থাকার ঘটনা; ইত্যাদি।
বিশাল এই মালভূমি যেন বিশাল ঐতিহাসিক মঞ্চ। এখানে কালে কালে অনেক হিরোর জন্ম হয়েছে। বিরল পাখি ও প্রাণী, মনোজ্ঞ গান ও নাচ নিয়ে গঠিত তিব্বতি জাতির সমৃদ্ধ সংস্কৃতিও রয়েছে। তিব্বতি সংস্কৃতির সাথে সুন্দর পাহাড়, নদী, ও হ্রদ জড়িত।
তিব্বতকে বলা হয় পৃথিবীর ছাদ। এখানে এসে দাঁড়ালে যে-কেউ এই জায়গাটির প্রতি অন্তরের টান অনুভব করবেন।
(ওয়াং হাইমান ঊর্মি, সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং, চীন।)
আরও পড়ুনঃ চীনের ‘দুই অধিবেশনে’ অব্যাহতভাবে ‘প্রতিনিধি চ্যানেল’, ‘সদস্য চ্যানেল’, ‘মন্ত্রী চ্যানেল’ খোলা হবে
মন্তব্য করুন