আমেরিকার নতুন শুল্ক নীতির কারণে গাড়ির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে ফোর্ড কোম্পানি। মেক্সিকোতে তৈরি তাদের তিনটি জনপ্রিয় গাড়ি—মুস্তাং মাক-ই, ম্যাভেরিক, এবং ব্রঙ্কো স্পোর্ট—এই মডেলগুলোর দাম প্রায় ২ হাজার ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই নতুন দাম ২ মে’র পর তৈরি হওয়া গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, এবং এই গাড়িগুলো মার্কিন বাজারে জুন মাসের শেষ দিকে পৌঁছাবে।
ফোর্ড জানিয়েছে, বছরের মাঝামাঝি সময়ে গাড়ির দাম কিছুটা সমন্বয় করা হয়, তবে এবার কিছুটা বাড়তি খরচ হয়েছে শুল্কের কারণে। কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা পুরো শুল্কের চাপ গ্রাহকদের কাঁধে দিইনি, কিছুটা নিজেরাও বহন করেছি।”
এই সিদ্ধান্তের কারণে ফোর্ড প্রথম বড় গাড়ি কোম্পানি যারা খোলাখুলিভাবে শুল্কের প্রভাবে গাড়ির দাম বাড়িয়েছে। এই খবর ছড়াতেই কোম্পানির শেয়ারের দাম ১.৭ শতাংশ কমে গেছে, যা এখন দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৬ ডলারে। আগে থেকেই ফোর্ড বলছিল, নতুন আমেরিকান শুল্ক নীতির কারণে তাদের ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ২৫০ কোটি ডলার বাড়তি খরচ হতে পারে। তবে তারা আশা করছে খরচ কিছুটা কমে আসবে।
অন্যদিকে, ফোর্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেল মোটরস (জিএম) জানিয়েছে, তাদেরও ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। যদিও তারা বলছে, এই বাড়তি খরচের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নিজেরা বহন করতে পারবে। ফোর্ড তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে, কারণ তারা মার্কিন বাজারে বিক্রি হওয়া গাড়ির ৭৯ শতাংশ নিজ দেশেই তৈরি করে, যেখানে জিএম মাত্র ৫৩ শতাংশ গাড়ি দেশে তৈরি করে।
তবে ম্যাভেরিক হলো ফোর্ডের সবচেয়ে সস্তা ও জনপ্রিয় মডেল, যা এখনো মেক্সিকো থেকে আনা হয়। তাই এই মডেলেই শুল্কের প্রভাব বেশি পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু গাড়ি কোম্পানিগুলো উৎপাদন স্থান দ্রুত বদলাতে পারে না, তাই আপাতত শুল্কের বাড়তি খরচের কিছুটা অংশ ভোক্তাদেরই দিতে হবে।
মন্তব্য করুন