বাংলা সংবাদ ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনকলের জেরে ২০১৯ সালে অভিশংসিত হয়েছিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্পর্ক কখনোই মসৃণ ছিল না। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনকলে কথা বলেছিলেন তিনি। ওই ফোনকলের জেরে শেষ পর্যন্ত প্রথম অভিশংসনের মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প।

 

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভিযোগ করা হয়েছিল, ২৫ জুলাইয়ের ফোনকলে বাইডেনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য প্রকাশ্যে আনতে জেলেনস্কির ওপর চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ করেছিলেন তিনি। বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাষ্য ছিল, নির্বাচনে জয়লাভের জন্য বিদেশি কারও কাছে সাহায্য চাওয়াটা অবৈধ। তবে ট্রাম্প তখন দাবি করেছিলেন—তিনি কোনো ভুল কাজ করেননি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন তিনি। তবে সিনেটের ভোটাভুটিতে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পান।

 

ট্রাম্পের ওই ফোনকলের বিষয়টি ২০১৯ সালের আগস্টে প্রথম সামনে আনেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় সামনে আনেননি তিনি। পরে বিতর্কের মুখে ওই ফোনকলের কিছু অংশ প্রকাশ করে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন। তাতে দেখা যায়, বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে জেলেনস্কিকে বলেছিলেন ট্রাম্প। জেলেনস্কিকে ওই ফোনকলের আগে ইউক্রেনকে দিতে যাওয়া সামরিক সহায়তা বাতিল করেছিলেন ট্রাম্প। পরে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিনিময়ে ওই সহায়তা আবার দেওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউস এমন তথ্য নাকচ করে দিয়েছিল।

 

ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকেরা অভিযোগ তুলেছিলেন, বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকে নিয়োগ দিয়েছিল ইউক্রেনের একটি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিলেন দেশটির একজন শীর্ষ কৌঁসুলি। ২০১৫ সালে তাঁকে চাকরি থেকে সরাতে ইউক্রেন সরকারের ওপর চাপ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ সে সময় অস্বীকার করেছিলেন বাইডেন। নিজের ছেলেকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বাইডেন কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির কোনো প্রমাণ মেলেনি। আর নিজের অভিশংসন নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার তিনি।

 

সুত্রঃ বিবিসি

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভেনিজুয়েলা থেকে তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এবার পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইরান

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ

পুনাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে শি জিনপিংয়ের সফরের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলকে চাপ ইউরোপের তিন দেশের

ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করল ইলন মাস্কের ‘এক্স’

এবার গাজার পাল্টা হামলায় কাঁপল ইসরায়েল

হামজাকে বাংলাদেশের মেসি বলে অভিহিত করলেন জামাল

মুসলিম হ্যান্ডস বাংলাদেশ কর্তৃক সিলেটে রমজান মাসে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

১০

ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মী ছুটিতে যাচ্ছেন

১১

যায়যায়দিন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিপর্যস্ত আয়োজকরা

১২

স্বাধীনতা পুরস্কারে জেনারেল ওসমানীর নাম বাদের কারণ জানাল প্রেস উইং

১৩

ছেলের সেমিস্টারের খরচ ৪০০ কোটি পাঠালেন বাংলাদেশি বাবা

১৪

হামট্রামেকের মেয়র আমের ঘালিবকে কুয়েতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

১৫

বাংলাদেশ সফরে দুই টেস্ট খেলবে এবার জিম্বাবুয়ে, সূচি ঘোষণা

১৬

নারী কাবাডিতে বাংলাদেশের এবার ‘প্রথম’ পদক

১৭

ট্রাম্পের এক নীতিতেই ওলটপালট বিশ্বব্যবস্থা

১৮

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকবে এবার হাফটাইম শো

১৯

আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে জেলেনস্কি চিঠি পাঠিয়েছেন: ভাষণে জানালেন ট্রাম্প

২০