কবি ফজলুল হক চিরনিদ্রায় শায়িত

সর্বস্তরের মানুষের অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় পঞ্চখণ্ডের রত্ন কবি ফজলুল হক ২৭ জুলাই (বুধবার) তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। বেলা ২ টা ২০ মিনিটে স্থানীয় পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা হতে কবির শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

কবি, সাংবাদিক ও গীতিকার ফজলুল হকের জানাজার নামাজের পূর্বে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, শিক্ষাবিদ আলী আহমদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র ফারুকুল হক, সাবেক মেয়র মো. আব্দুস শুকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামাল হোসেন, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ জাফরী ও আতাউর রহমান, বিয়ানীবাজার সুজনের সভাপতি এডভোকেট মো. আমান উদ্দিন, পঞ্চখন্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ সাহেদ সহ প্রমুখ। জানাজার নামাজের পূর্বে কবি ফজলুল হকের পরিবারের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কবির বড় পুত্র নুরুল ফজল অলক তাঁর পিতার জীবন চলার পথে সকল ধরণের ভুল ভ্রান্তির জন্য সবার কাছে মার্জনা চান এবং পিতার জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, কবি ফজলুল হক ২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেল সোয়া ৪ টায় সিলেট নগরীর শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুখবরে দেশ–বিদেশে বসবাসরত শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অজস্র মানুষ শোকে মুহ্যমান হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিউজ ফিডে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন সর্বস্থরের মানুষ। স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। জানাজার পূর্বে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব, পঞ্চখন্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরী ও গোলাব শাহ কিশোর সংঘ মরহুমের মরদেহে পুষ্পশ্রদ্ধা অর্পণ করেন।